আইজল: অসম-মিজোরাম সীমান্ত সমস্যার মাঝে এবার বড় অভিযোগ আনল মিজোরামের কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। ওষুধ পাঠানো বন্ধ করেছে অসম, এই অভিযোগে মিজোরামের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।   


অ্যাসোসিয়েশন আরও দাবি করেছে যে "নিরাপত্তার"-এর নামে অসম সরকার অসম পুলিশের সহায়তায় গুয়াহাটির সমস্ত ওষুধ সরবরাহকারীদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে ২৯ জুলাই মিজোরামের জন্য নির্ধারিত কোনও পণ্য বা ওষুধ বুক করা যাতে না হয়। এমনকি কুরিয়ার সংস্থাদেরও ওষুধের বুকিং নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। 


অতিমারি পরিস্থিতিতে যদি অসম জীবন রক্ষাকারী ওষুধ মিজোরামে পৌঁছানো বন্ধ করে দেয় সেক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। মারাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে মিজোরাম, এমনটাই বলা হয়েছে। 




অ্যাসোসিয়েশন আরও বলেছে যে মিজোরামের ইতিহাসে এমন পরিস্থিতি কখনও ঘটেনি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। মিজোরামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর লালথাঙ্গলিয়ানা রবিবার দাবি করেছেন যে সীমান্ত বিরোধের পর বরাক উপত্যকা অঞ্চলে অবরোধের কারণে অসম থেকে কোভিড টেস্ট কিটসহ চিকিৎসা সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।


অন্যদিকে, অসমের তরফে জানান হয়েছে, যে কোনও সংগঠন এমন কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। মিজোরাম বর্তমানে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের মুখোমুখি এবং এটি দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ২৬ জুলাই সীমান্তের ঘটনাটি সমাধানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তিনি। 


এদিকে, মিজোরামের অফিসাররা শনিবার বলেছিলেন যে অসম থেকে  সীমান্তে সংঘর্ষের পর  রাজ্যে কোনো যানবাহন প্রবেশ করেনি। সম্প্রতি  অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নামে এফআইআর দায়ের করেছিল মিজোরাম পুলিশ। খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে মামলা রুজু করা হয়েছিল।