নয়া দিল্লি : অতিমারির এই পর্যায়ে সাধারণ নাগরিকদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টারের প্রয়োজন নেই। একথা জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সহ বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। এই সংক্রান্ত রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট-এ। তাতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই । কারণ, মারাত্মক করোনা ভাইরাস, এমনকী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যথেষ্ট বেশি।
গবেষণায় কী দেখা গেছে ?
সর্বাধিক পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে যে, SARS-CoV-2 এর প্রধান ভ্যারিয়েন্ট থেকে সৃষ্ট সংক্রমণ সহ গুরুতর কোভিড রোগের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর। ডেল্টা ও আলফার মতো মারাত্মক ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে। অন্যদিকে এই ভ্যারিয়েন্টগুলি থেকে সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সুরক্ষা দিচ্ছে ৮০ শতাংশ।
তাছাড়া উপসর্গহীন রোগ বা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে কার্যকারিতার চেয়ে কম। যেসব জনগোষ্ঠীর অধিকাংশকেই টিকা দেওয়া হয়েছে, সেখানে টিকাকরণ না হওয়া সংখ্যালঘুরাই সংক্রমণের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এরা গুরুতর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন ?
এই রিভিউয়ের লেখক আনা-মারিয়া বলেন, যদি এই ভ্যাকসিন সেইসব ব্যক্তিকে দেওয়া যায় যাঁরা এখনও একটিও ডোজ পাননি এবং গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাহলে তাঁদের অধিকাংশেরই জীবন রক্ষা পাবে।
অন্যদিকে WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, টিকা দিয়ে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমানোর যে কোনও সিদ্ধান্ত- জোরাল প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত। এর ঝুঁকি বিবেচনা করে দেখা উচিত।
এদিকে রিভিউতে দাবি করা হয়েছে যে, টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা সময়ের সাথে সাথে কমে যাওয়ার বিষয়টি গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হ্রাসের পূর্বাভাস দেয় না।