নয়া দিল্লি : দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বছর ৩৫-এর অধ্যাপক। সম্প্রতি অজানা এক নম্বর থেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও কল আসে তাঁর কাছে। কল রিসিভ করেন অধ্যাপক। দেখেন, মোবাইলের অপর প্রান্তে এক নগ্ন মহিলা ! আতঙ্কে শিউরে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। কিন্তু, তার আগেই সাইবার অপরাধীরা দ্রুত তাঁর ভিডিও করে ফেলেন। যাতে দেখা যায়, অধ্যপক পর্ন ক্লিপ দেখছেন। ব্যস! তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় অধ্যাপককে হেনস্থা।


নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অধ্যাপক সংবাদ সংস্থা আইএনএস-কে আতঙ্ক মেশানো গলায় জানান, "রাত তখন ২টো। ফেসবুক মেসেঞ্জারে অজানা একটি নম্বর থেকে কল আসে। ফোনটা ধরার পর দেখি, অপর প্রান্তে এক নগ্ন মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে ফোনটি কেটে দিই। যদিও কী ঘটেছে বুঝে ওঠার আগেই, বেশ কয়েটি মেসেঞ্জারের ভিডিও কলের বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট আসে আমার কাছে।"  


বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অধ্যাপক। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই ইউজারকে ব্লক করে দেন। এক ঘণ্টা পর অধ্যাপক একটি অডিওকল পান। যেখানে অপর প্রাপ্ত থেকে এক ব্যক্তি তাঁকে ২০ হাজার টাকা দিতে বলে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ডিজিটাল মোডে পেমেন্ট করতে বলা হয়। অন্যথা ফেসবুকে তাঁর বন্ধু ও পরিবারের সামনে স্ক্রিনশটগুলি পোস্ট করার হুংশিয়ারি দেয় সাইবার অপরাধী। 


অধ্যাপক বলেন, আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিই। সেই রাতে আর কিছু ঘটেনি। কিন্তু, আমি এখনও চিন্তিত আছে। 


দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারে এই ধরনের ভিডিও কলের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষযটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে মানুষকে ভিডিও কলে করে পরে তাঁদের ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। পরে চলছে তোলাবাজি। হরিয়ানার মেওয়াট অঞ্চলে থেকে এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই সাইবার গুন্ডারা ছড়িয়ে রয়েছে- কিষানগড় বাস, রামগড়, লক্ষ্মণগড় ও আলওয়ারের মত এলাকায়।