আগরতলা : পুরভোটের আগে ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা। তৃণমূল নেতাদের হোটেলে হানা পুলিশের। এরপরই আগরতলা মহিলা থানায় যান সায়নী ঘোষ। বিনা নোটিসেই তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে দাবি তৃণমূলের। থানায় নিয়ে যাওয়ার নোটিস কোথায় বলে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি বিজেপি-কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, এটা বিজেপির দেউলিয়াপনা।
কুণাল ঘোষ বলেন, "কোনও সেকশনে আপনি কোনও নোটিস দেননি। আপনি কীভাবে যেতে বলতে পারেন ? তা সত্ত্বেও থানায় যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। কারণ তাদের ওপর অর্ডার আছে। আমরা আইন মেনে চলা নাগরিক। যদিও আইনত, নোটিস ছাড়া যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। সায়নীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ? সেটা সায়নীও জানেন না। পুলিশও বলতে পারছে না। তা সত্ত্বেও সৌজন্য দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শাখার সভানেত্রী তিনি আগরতলা ইস্ট থানায় যাবেন। শুধুমাত্র এটা দেখাতে যে আমরা আইন মেনে চলি।"
আরও পড়ুন ; আগরতলায় ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল (TMC)। এর আগে আগরতলার (Agartala) ইন্দ্রনগর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তৃণমূল (TMC)-বিজেপির (BJP) সংঘর্ষে। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) মঞ্চে বক্তব্য রাখাকালীন বিজেপির মিছিল করা হয়। সেই মিছিল মঞ্চের সামনে এসে পৌঁছতেই দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআরপিএফ (CRPF) এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে (BJP) হুঁশিয়ারি দেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। নিশানা করেন বিপ্লব দেবকেও (Biplab Deb)। সোনামুড়ায় ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'কুয়োর ব্যাঙ বিপ্লব দেব ও ৫ টা মারলে, ওকে ১০ টা মারতে পারি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। বিশ্বাস করেন সবার উপরে মানুষ সত্যে। তাই মানুষের রায় শেষ কথা বলবে। গুন্ডারাজ শেষ কথা বলবে না।'