নয়াদিল্লি: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় টাও'তে।  ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে কেরলে। মৌসম ভবন বলছে, ২৪-ঘণ্টার মধ্যে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে টাও'তে।


প্রাথমিকভাবে উত্তর থেকে উত্তর পূর্ব দিকে যাবে ঘূর্ণিঝড় টাও'তে। ১৮ তারিখ উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে গুজরাতের কাছে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পরের দিন রাজস্থান হয়ে পাক সীমান্তের দিকে চলে যাবে ঘূর্ণিঝড়। 


গত বৃহস্পতিবার, মৌসম ভবনের তরফে এক সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল আরবসাগরের ওপর তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপ ১৬ তারিখ সাইক্লোনে পরিণত হবে। যার জেরে মুম্বই, গোয়া ও গুজরাত এবং কোঙ্কন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হবে।


মৌসম ভবনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, আরবসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ১৬-১৯ তারিখ অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০-১৬০ কিলোমিটারও পৌঁছতে পারে বলে পূর্বাভাস। 


শনিবার মৌসম ভবন জানিয়েছে, লক্ষদ্বীপের ওপর তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং রবিবার সকালে তা অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। 


সাইক্লোন "টাও'তে"-র অর্থ কী?


এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে টাও'তে। নামকরণ করেছে মায়ানমার। সেখানকার স্থানীয় ভাষায় টাও'তে শব্দটির অর্থ হল গেকো। এক ধরনের সরিসৃপ। এটিই এবছরের এই অঞ্চলের প্রথম সাইক্লোন। 


কী করে সাইক্লোনের নামকরণ হয়? 


বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও)-র কাছে একটি নামের তালিকা থাকে। সেখান থেকে যথাযথ ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় অববাহিকার জন্য নাম বাছা হয়। অনেকক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় যদি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়, তখন নাম পাল্টে দেওয়া হয়। 


সাধারণত, একটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সদস্য দেশের তরফে নাম প্রস্তাবের তালিকা পাঠানো হয় ডব্লুএমও-র কাছে। যেমন ভারতের তরফে নামের তালিকা পাঠায় আইএমডি বা মৌসম ভবন। 


কেন সাইক্লোনের নামকরণ হয়? 


নাম দিয়ে যায় চেনা। ঘূর্ণিঝড়ের চিহ্নিতকরণ ও সতর্কতা জারি করতে সুবিধার জন্য় এই নামকরণ করা হয়ে থাকে। কারণ যে কোনও সময়ে অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ সংখ্যা মনে করার চেয়ে নাম মনে রাখা অধিক সহজ। পাশাপাশি, নাম থাকলে, এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করা ও সংবাদমাধ্যমের পক্ষেও সুবিধে হয়। নাম থাকলে অঞ্চলের মানুষের কাছেও তা বেশি গ্রহণযোগ্য হয়।