নয়াদিল্লি :  দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে চারতলা অফিস বাড়ির ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল । ঝলসে মৃত্যু হয়েছে দুই দমকলকর্মী-সহ ২৭ জনের। বহু মানুুষ এখনও নিখোঁজ। ১২ জন জখম হয়েছেন বলে খবর। দোতলায় রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও রাউটার নির্মাতা সংস্থার অফিস। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আগুন লাগার পর প্রায় ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ ওই অফিসে আগুন লাগার খবর মেলে। দ্রুত আগুনের গ্রাসে চলে যায় গোটা বাড়ি। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেন। দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে চলে উদ্ধারকাজ। জানলা ভেঙে অনেককে উদ্ধার করা হয়। 






এই ঘটনায় ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থার দুই মালিক হরিশ ও বরুণ গোয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়ির মালিক মণীশ লাকড়া পলাতক। বাড়ি মালিক ছাদের দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, বাণিজ্যিক বিল্ডিং হওয়া সত্ত্বেও দমকলের এনওসি ছিল না। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ''আগুন লাগার পর জানলার কাচ ভেঙে অনেককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই বাড়িটি মূলত অফিসকে ভাড়া দেয়া হত।''


দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সকাল ১১ টা নাগাদ মুন্ডকাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। ঘটনার পর শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যেতে পারেন ঘটনাস্থলে। 


এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোকবার্তায়  লেখেন, দিল্লির আগুনে এত মানুষ মারা যাওয়ায় তিনি শোকস্তব্ধ। তিনি আশা করছেন, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। মৃতের পরিবারকে ৫ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।  দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 


 


তিনি লেখেন, আজ দিল্লিতে একটি মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের কারণে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির আকস্মিক খবরে অত্যন্ত মর্মাহত ও দুঃখিত। নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।