নয়াদিল্লি: অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হল ২৮ জন করোনা রোগীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির বেসরকারি জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে। এই খবর সামনে আসতেই, হাসপাতালে পাঠানো হল অক্সিজেন ট্যাঙ্কার।


হাসপাতালের অধিকর্তা ডি কে বালুজা বলেন, ২০ কোভিড রোগী গতকাল রাতে মারা গেছেন। সকলেই ক্রিটিক্যাল ছিলেন। অক্সিজেন একেবারে নিঃশেষ না হলেও প্রেসার একেবারে ছিল না। 


তিনি জানান, শনিবার সকাল সোয়া ১০টার হিসেব অনুযায়ী, হাসপাতালে মাত্র ৪৫ মিনিটের অক্সিজেন রয়েছে। সেখানে রোগী রয়েছেন ২১০ জন। পরে জানা যায়, আরও ৮ কোভিড রোগী অক্সিজেনের অভাবে মারা গিয়েছেন। অর্থাৎ, মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের।


এই এই খবর সামনে আসতেই, তড়িঘড়ি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ অক্সিজেন ট্যাঙ্কার পৌঁছে যায় হাসপাতালে। 


ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন রাহুল গাঁধী। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, অক্সিজেনের অভাবে জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা। আমি রাজ্য সরকার ও কংগ্রেস কর্মীদের আবেদন করব, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যথাসম্ভব পাশে দাঁড়াতে।


পঞ্জাবের অমৃতসরে অক্সিজেনের অভাবে ৫ করোনা রোগী-সহ ৬ জনের মৃত্যু। জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


ব্যাঙ্গলোরের বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬১ বছরের করোনা রোগীর ঝুলন্ত দেহ।আত্মহত্যা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।


দেশে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। দিল্লিতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ উঠল। রাজধানীর দশরথপুরী এলাকায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩২টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ১৬টি ছোট অক্সিজেন সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে অক্সিজেনের সঙ্কট। এই অবস্থায় দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে বারাণসী ও লখনউতে পৌঁছল অক্সিজেনের তিনটি ট্যাঙ্কার। দ্বিতীয় ট্রেনে আরও চারটি অক্সিজেন ট্যাঙ্কার বোকারোয় পৌঁছেছে। 


দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ফের বিশ্বে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড গড়ল ভারত। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই হাজারের বেশি।  


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। শুক্রবার সংখ্যাটা ছিল ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। বৃহস্পতিবার করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫।  অর্থাত্‍, প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।   


দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে।  শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ জনের। শুক্রবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৬৩। বৃহস্পতিবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০৪।  এক্ষেত্রেও প্রতিদিনই বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা।  


ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৪৪ জনের।  মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১।  অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ২৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৪০।