নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে পার আরও একটা বছর। আর কয়েকদিন পরেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে হবে। তার আগে রয়েছে বড়দিন বা ক্রিস্টমাস (Christmas) । উৎসবে প্রস্তুত গোটা দেশ। কিন্তু এরই মধ্যে ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কও রয়েছে। কীভাবে করবেন বছর শেষের উদযাপন? কীভাবে নতুন বছরকে (New Year) স্বাগত জানানো হবে? তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল একাধিক রাজ্য।
দিল্লি: বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রাজধানীতে। আজ, বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর । দিল্লির বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞা যাতে কার্যকর তা দেখতে জেলা শাসক এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র: উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে বাড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে মুম্বইয়ে। আরব সাগর তীরবর্তী শহরের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। বদ্ধ কোনও জায়গায় ৫০ শতাংশ এবং খোলা জায়গায় ২৫ শতাংশ জমায়েতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, কোনও অনুষ্ঠানে ২০০-র বেশি নিমন্ত্রিত হলে, তা আয়োজন করার আগে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
কর্ণাটক: বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপনের জন্য বিধি জারি করেছে কর্ণাটক সরকার। গতকাল রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, কোভিড বিধি মেনে নতুন বছরের উৎসবে সামিল হতে হবে। ৫০ শতাংশ জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁয়। প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
উত্তরপ্রদেশ: উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি গির্জা শুধুমাত্র আমন্ত্রিতদের জন্য খোলা থাকছে। এছাড়া জমায়েত রুখতে উদযাপন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি ক্লাব এবং হোটেলগুলিও নতুন বছরের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কয়েকটি মল এবং হোটেল কোভিড বিধি মেনেই উদযাপন করবে বলে জানিয়েছে।
হরিয়ানা: শপিং মল, রেস্তোরাঁতে যাওয়ার জন্য ১ জানুয়ারি ২০২২-এর মধ্যে টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধুমাত্র সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বাস স্ট্যান্ড এবং রেলস্টেশন থেকে যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হবে।