নয়াদিল্লি :  ১৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে ক্রমশ চড়ছে পারদ। অসংসদীয় শব্দের তালিকার পর এবার সংসদ চত্বরে ধর্না-বিক্ষোভ করা যাবে না বলে নির্দেশিকা করেছে  লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল। এরপর আবার  ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণের পথে মোদি সরকার। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই আইন সংশোধন করতে পেশ করা হবে বিল, খবর সূত্রের। জানা গিয়েছে, আইন ভাঙলে থাকছে পদক্ষেপের সংস্থান। 


 সূত্রের দাবি,  নতুন আইনে থাকছে জরিমানার সংস্থানও।  আইন প্রণয়নের ৯০ দিনের মধ্যে নথিভুক্তকরণের আবেদন করতে হবে । নথিভুক্তকরণের প্রেস রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আবেদন করতে হবে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমগুলিকে। 
এই সংশোধনীর জেরে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম চলে আসবে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের ( ministry of information and broadcasting)  অধীনে। আইন ভঙ্গ করলে তাকে অপরাধমূলক কাজ হিসেবেও ধরা হতে পারে। 


এখনও পর্যন্ত, ডিজিটাল মিডিয়া কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক (আইএন্ডবি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, তবে গত বছর চালু করা নতুন আইটি নিয়ম অনুসারে স্বেচ্ছায় মন্ত্রকে নিজেদের রেজিস্টার করাতে পারে। তবে বিল পাশ হয়ে গেলে, প্রকাশকদের এখন প্রেস রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আবেদন করে  নিবন্ধন করাতে হবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে।


সূত্রের খবর, আইন পাশ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমগুলিকে নথিভুক্তিকরণের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এই প্রথম ভারতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত হবে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম এবং চলে আসবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনে।  


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ পিরিওডিকালস বিল, ২০২২ (Press and Registration of Periodicals Bill, 2022) , বর্তমানে চালু থাকা প্রেস অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অফ বুকস (পিআরবি) আইন, ১৮৬৭ (Press and Registration of Books (PRB) Act, 1867)  -কে  প্রতিস্থাপন করতে চায়। এই নতুন আইন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখবে ।


বৃহস্পতিবার সংসদের সেক্রেটারি জেনারেলের তরফে জারি করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, সংসদ চত্বরে কোনও প্রকার বিক্ষোভ, ধর্না, অনশন অথবা কোনও ধর্মীয় আচার পালন করা যাবে না। আর এই নির্দেশ আসা মাত্রই মোদি সরকারকে আক্রমণে নেমেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রথমে একাধিক শব্দকে অসংসদীয় শব্দের তালিকায় আনা, আর তারপর সংসদ চত্বরে ধর্না-বিক্ষোভে বাধা দিয়ে আসলে তাদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে মোদি সরকার।