নয়াদিল্লি: 'আমরা কীভাবে একজন সাংবাদিককে লিখতে না বলতে, আইনজীবীকে তর্ক না করতে বলতে পারি',----ঠিক এই কথাই বলল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গ সাংবাদিক মহম্মদ জুবেইরের (Mohammed Zubair) অন্তর্বতীকালীন জামিন।  জুবেইরের জামিনের শর্তে ঠিক এমনভাবেই বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। 


কেন এই কথা:
উত্তর প্রদেশের অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল গরিমা প্রসাদ, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে আবেদন করেছিলেন যে, অন্তর্বতীকালীন জামিন পাওয়ার পর মহম্মদ জুবেইর যাতে টুইট না করেন। তখনই ওই বক্তব্য রেখেছেন বিচারপতিরা। জামিনের কোনও কড়া শর্ত দিতেও চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। প্রসাদ বলেছিলেন যে জুবাইয়ের একজন সাংবাদিক ছিলেন না এবং সুপ্রিম কোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চের দেওয়া আদেশের উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন, সীতাপুর এফআইআর-এ জুবায়েরকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছিল এবং একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছিল যে তিনি টুইট পোস্ট করবেন না। তার উত্তরে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এ এস বোপান্না-র বেঞ্চ বলে, 'আমরা ওঁকে টুইট করা থেকে আটকাতে পারি না। আমরা তাঁকে তাঁর বাকস্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগে বাধা দিতে পারি না।'


বিচারপতিদের বক্তব্য:
বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ( Justice D.Y. Chandrachud ) বলেন, 'যদি আইনের বিরুদ্ধে কোনও টুইট করে থাকেন। তাহলে তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে। কেউ কথা বলবে না এমন কোনও আগাম আদেশ কীভাবে আমরা দিতে পারি?' শীর্ষ আদালত তার আদেশে বলেছে: “জামিনের বন্ড দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হবে। জামিনের বন্ড পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে, তিহার জেলের সুপারিনটেনডেন্টকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিচার বিভাগীয় হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।'  


জুবেরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) স্পেশাল সেলে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এর আগে, সোমবার জুবেরের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এক মামলায় জামিন পাওয়ামাত্র অন্য মামলায় তাঁকে ফের জেলে ঢোকানোর প্রক্রিয়াকে 'জঘন্য চক্র' বলেও উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জুবেরের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর পর বুধবার দুপুরে শুনানি শুরু হলে জুবেরের জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়। এ দিন আদালত বলে, "আমাদের মতে, সমস্ত এফআইআর থেকে ওঁকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দেওয়া উচিত। আইন বলে, গ্রেফতার করার ক্ষমতাও বুঝেশুনে প্রয়োগ করা উচিত। বর্তমানে ওঁকে জেলে বন্দি করে রাখা, একের পর এক আদালতে ঘুরে যাওয়ার কোনও ন্যায্য কারণ নেই।" এ দিন আদালত জানায়, দিল্লি পুলিশ যখন তদন্ত ঠিকঠাক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সময় জুবেরকে আটকে রাখা অর্থহীন।"


আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল জয়েন্টের মেন সেশন ২-এর পরীক্ষা, আগামীকাল পাবেন অ্যাডমিট কার্ড