নয়াদিল্লি: আজ থেকে শুরু সংসদের (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন। চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশনের প্রথম দিনেই কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার বিল পেশের সম্ভাবনা। বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar)। বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেসের (Congress) তরফে হুইপ জারি করে লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
শীতকালীন অধিবেশনে (Winter Session) ৩০টি বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে থাকছে বিদ্যুৎ, পেনশন, ব্যাঙ্কিং, বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার সংক্রান্ত বিল। এরমধ্যে অনেকগুলি বিল নিয়েই আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের। ফলে শীতকালীন অধিবেশনেও সংসদ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা। তবে বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েই কেন্দ্রকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি, পেট্রোপণ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস।
শীতকালীন অধিবেশনের আগে গতকাল রবিবার কেন্দ্রের ডাকা সর্বদল বৈঠকে অংশ নেয় তৃণমূল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর(M. Venkaiah Naidu) ডাকা বৈঠকেও উপস্থিত হন তৃণমূলের প্রতিনিধি। তবে, সোমবার কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে থাকছে না তৃণমূল। জানিয়ে দিলেন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সরকারের ডাকা এদিনের সর্বদলীয় বৈঠকে খোদ প্রধানমন্ত্রীই (Prime Minister Narendra Modi) উপস্থিত ছিলেন না। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিরোধীরা।
রাজ্যসভার (Rajya Sabha) কংগ্রেস (Congress) সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) বলেন, “আমরা এক্সপেক্ট করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে যোগ দেবেন, আমাদের সঙ্গে মতামত বিনিময় করবেন, আমরা তাঁর কাছে কৃষি আইন নিয়ে প্রশ্ন করার কথা ভেবেছিলাম।’’