নয়াদিল্লি: মুদ্রাস্ফীতি (Inflation), মূল্যবৃদ্ধির চাপে এমনিতেই হাঁসফাঁস অবস্থা।  আপাতত তা থেকে মুক্তির উপায় তো নেই-ই, বরং আগামী দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের (Essential Items) মূল্য আরও বাড়তে পারে। ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে দাম বাড়তে পারে আটা, ময়দা, ভোজ্য তেল, পাম তেল এবং প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্যের (Packaged Materials)।


এক দিকে মুদ্রাস্ফীতি, অন্য দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ব্যাহত আমদানি, এই দুইয়ের জেরেই ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলি (FMCG Copmpanies) নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানো নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে বলে জানা গিয়েছে।


যে সমস্ত সংস্থা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে, নেসলে, ডাবর, পার্লে এবং হিন্দুস্তান ইউনিলিভার মতো সংস্থা।


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর তরফে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে, পার্লের খাদ্যপণ্য বিভাগের প্রধান ময়াঙ্ক শাহ বলেন, “১০ থেকে ১৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে বলে অনুমান আমাদের।” তবে এই মুহূর্তে বাজারের যা অবস্থা, তাতে এই হার উপর-নীচে হতে পারে বলেও জানিয়ে রেখেছেন তিনি।


আরও পড়ুন: Fuel Price Hike: লিটারে একধাক্কায় ২৫ টাকা বৃদ্ধি ! ডিজেল কিনতে হাত পুড়বে কাদের


শাহ জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই পাম তেলের দাম লিটারে ১৮০ টাকায় এসে ঠেকেছিল। এখন আবার নেমে গিয়েছে ১৫০ টাকায়।  একই ভাবে অশোধিত তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল প্রতি ১৪০ ডলারে হলেও, তা ১০০ ডলারে নেমে এসেছে। স্বাভাবিকের তুলনায় যদিও এই দামও অনেক বেশি। কিন্তু কোভিড পরবর্তীতে বাজারের যা অবস্থা, তাতে দাম বাডা়নো ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।


তবে এক-দু’দিনের মধ্যে নয়, সিদ্ধান্ত নিতে এক-দু’মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন শাহ। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্যাকেটজাত পণ্য যথেষ্ট পরিমাণ মজুত করে রাখা আছে। সেই গুলি পুরোপুরি খালিনা হয়ে যাওয়া পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না।