নয়াদিল্লি: চিন্তায় রাখছে দেশের (nation) করোনা (corona) সংক্রমণের হার। 
শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-পজিটিভ (covid positive)  হয়েছেন ১৪ হাজার ৫০৬ জন। একই মেয়াদে মৃত্যু (death) হয় ৩০ জন আক্রান্তের। 


চিন্তা কোথায়?


বিশেষজ্ঞদের দাবি, পর পর দুদিন নতুন সংক্রামিতের সংখ্য়া ১৫ হাজারের নিচে থাকলেও গত কালের নিরিখে আজকের পরিসংখ্যান বেড়েছে। মঙ্গলবার নতুন সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৯৩। মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন। 
এতেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া দৈনিক পজিটিভিটি রেটও নজরে রেখেছে বিশেষজ্ঞমহল। এদিন পজিটিভিটি রেট ছিল ৩.৩৫ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত পজিটিভিটি রেটের সাপ্তাহিক গড় ৩.৩০ শতাংশ। আশার কথা একটাই। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনামুক্তির হার ৯৮.৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ আক্রান্তদের সিংহভাগেরই করোনা সেরে যাচ্ছে।
কিন্তু চিন্তার কারণ অন্যত্র। একদিকে ডাবল ডোজ টিকাকরণ কর্মসূচি, অন্য দিকে বুস্টার ডোজে জোর দেওয়া সত্ত্বেও সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধি কিছুটা পুরনো আতঙ্ক উসকে দিচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টিকার সুরক্ষাবর্ম ভেদ করে আগের মতো ক্ষতি করতে পারবে না সার্স-কোভ-২। তবে একই সঙ্গে কোভিড বিধি পালন করাও জরুরি। অর্থাৎ টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার-শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলা দুদিকেই খেয়াল রাখা জরুরি। বার বার মনে করাচ্ছেন তাঁরা। কারণ নভেল করোনাভাইরাস এখনও রয়েছে। সুতরাং সব নিয়ম শিকেয় তুলে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে, সতর্ক করছেন তাঁরা। সুতরাং আতঙ্ক নয়, তবে সাবধান থাকা জরুরি।


টিকায় ছাড় ডিসিজিআইয়ের


উল্লেখ্য, ৭-১১ বছর বয়সিদের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত আপৎকালীন প্রয়োগে মঙ্গলবারই ছাড়পত্র দিয়েছে ডিসিজিআই। একই সঙ্গে আঠারো ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ টিকার নিয়ন্ত্রিত আপৎকালীন ব্যবহারেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন:'হিংসা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়', উদয়পুরকাণ্ডে মমতা টুইট করতেই কী নিয়ে তোপ শুভেন্দুর ?