নয়াদিল্লি: দেশে  আগামীদিনগুলিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের  চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পাঁচ ধাপের কৌশলে মনোনিবেশ বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে।  কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ পরীক্ষা-চিহ্নিতকরণ-চিকিৎসা-টিকাকরণ ও কোভিড-বিধি মেনে চলা-এই পাঁচ ধাপের কৌশলের ওপর গুরুত্ব বজায় রেখেই এগোতে হবে। 
ভূষণ বলেছেন, সেন্টিনেল সাইটগুলির মাধ্যমে  INSACOG নেটওয়ার্কে পর্যাপ্ত সংখ্যায় নমুনা জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার রাজ্যগুলির। INSACOG-র নোডাল এজেন্সি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (NCDC)-র প্রোটোকল অনুযায়ী, এই বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার রাজ্যগুলির। আইসিএমআরের পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রোটোকল অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরীক্ষা বজায় রাখার সঙ্গে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলে সঠিক সময়ে চিহ্নিত করণের জন্য এই নুমনা জমা দেওয়ার প্রয়োজন। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, মুখ্যসচিব, সচিব (স্বাস্থ্যে)-দের কাছে পাঠানো চিঠিতে এ কথা বলেছেন ভূষণ। 


কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেছেন, নতুন সংক্রমণের নতুন ক্লাস্টার থাকলে সেগুলির তদারকির মাধ্যমে কার্যকরী নজরদারি, নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা ও আইএলআই ও সারি কেসের পর্যবেক্ষণ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে, যাতে আগাম কোনও সতর্কতার সঙ্কেত নজর না এড়িয়ে যায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব যাঁরা যোগ্যপ্রাপক, কিন্তু এখনও টিকা নেননি, তাঁদের টিকাকরণের জন্য উৎসাহিত করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে রাজ্যগুলিকে।  তিনি বলেছেন, সচেতনতা বাড়াতে এবং মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও হাত ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মতো কোভিড বিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকে। 


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমস্ত দেশকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতা বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। 


উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৮ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫৩৯। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৯ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬০।