নয়াদিল্লি: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই আলোর উৎসবে সেজে উঠবে গোটা দেশ। করোনাকালে (Covid19) এবছরও বিধি নিষেধ মেনেই একাধিক রাজ্যে পালন করা হবে দীপাবলি (Diwali)। দীপাবলির আগে কিছু রাজ্য আতশবাজি সহ সব ধরেনর বাজি পোড়ানোর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা (FireCracker Ban) জারি করেছে। কোনও রাজ্য আবার পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহারে ছাড় দিয়েছে।
দিল্লি: ১ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের বাজি বিক্রি এবং বাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (DPCC)। গত মাসে জারি করা হয় এই নিয়ম। নিয়ম কার্যকর করার জন্য জেলাশাসকদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, দীপাবলিতে যে কোনও ধরণের আতশবাজি ব্যবহার, সংরক্ষণ বা বিক্রির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। ট্যুইটে তিনি লেখেন, গত ৩ বছরে দীপাবলির সময় অত্যাধিক মাত্রায় বেড়ে যায় দূষণ। এই পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের জীবন বাঁচাতে গত বছরের মতো এবছরও, সমস্ত ধরণের বাজি মজুত, বিক্রি এবং পোড়ানোর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্র: নির্দেশিকা জারি করে সরকার জানিয়েছে শব্দ এবং বায়ু দূষণ এড়াতে বাজি পোড়ানে যাবে না। আলোর উৎসবে রাজ্যবাসীকে প্রদীপ জ্বালিযে উদযাপনের আর্জি জানিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে ভিড় এড়াতে জমায়েতের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিহার: বিহার সরকার পাটনা, গয়া, মুজাফফরপুর এবং হাজিপুর সহ চারটি জেলা এবং শহরে বাজি বিক্রি ও পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর পাশাপাশি সরকার বলেছে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে।
গুজরাত: রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরা বাজি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে সরকার। ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এর বাজি বিক্রি এবং কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
কর্ণাটক: শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র অনুমোদন প্রাপ্ত ডিলাররা ১ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজি বিক্রি করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের অনুমতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট জায়গায় বিক্রি করা যাবে বাজি।
আরও পড়ুন: India Corona Update: গত ৮ মাসে সর্বনিম্ন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা, দেশে কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ