World Richest Man: ভারতের ধনীদের তালিকায় সেরার সেরা হয়েছেন আগেই। এবার বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে নাম উঠল গৌতম আদানির। এই প্রথম কোনও এশিয়ার ব্যক্তি বিশ্বের ধনীদের তৃতীয় নম্বরে উঠে এলেন। সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ করেছে ব্লুমবার্গ। বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে দেওয়া হয়েছে এই শিরোপা।
Gautam Adani: কাকে টপকে তৃতীয় ?
ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্টকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন আদানি। ৬০ বছরের এই ধনকুবের তার কয়লা থেকে বন্দর ব্যবসাকে বাড়িয়েই চলেছেন। এখানেই শেষ নয়, ডেটা সেন্টার থেকে সিমেন্ট, মিডিয়া ও অ্যালুমিনাম পর্যন্ত সবেতেই ব্যবসায়িক পারদর্শিতা দেখিয়েছেন আাদনি। এখন ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি-ক্ষেত্রের বন্দর, বিমানবন্দর অপারেটর, সিটি-গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটর ও কয়লা খনির মালিক আাদানি গোষ্ঠী।
World Richest Man: গৌতম আদানির বর্তমান সম্পদ কত ?
বর্তমানে ১৩৭.৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের অধিকারী আদানি। বর্তমানে র্যাঙ্কিংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের পিছনে রয়েছেন তিনি। অন্তত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ তেমনই জানিয়েছে। এলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মোট সম্পদ বর্তমানে যথাক্রমে ২৫১ বিলিয়ন ও ১৫৩ বিলিয়ন ডলার। সম্প্রতি আদানি ফরাসি ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও শিল্প সংগ্রাহক বার্নার্ড জিন ইতিয়েন আর্নল্টের সম্পদকে ছাড়িয়ে গেছেন।
Gautam Adani: আদানির সম্পদ ২০২২ সালে ৬০.৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। যা অন্য কারও থেকে পাঁচগুণ বেশি। প্রাথমিকভাবে, তিনি মুকেশ অম্বানিকে পিছনে ফেলে ফেব্রুয়ারিতে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। এপ্রিল মাসে আরবপতি ও জুলাই মাসে বিশ্বের চতুর্থ ধনী ব্যক্তি হিসেবে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের বিল গেটসকে ছাড়িয়ে যান।
আদানি গ্রুপ দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী (রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও টাটা গ্রুপের পরে)। আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি ট্রান্সমিশন গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলির মধ্যে রয়েছে।কোম্পানির লক্ষ্য টেলিকম স্পেসে উদ্যোগ নেওয়া ও এর গ্রিন হাইড্রোজেন ও বিমানবন্দর ব্যবসা সম্প্রসারণের ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।
রকেট গতিতে উত্থান আদানির
গত দু’বছরে আক্ষরিক অর্থেই রকেট গতিতে উত্থান ঘটেছে আদানির। এই সময়সীমার মধ্যে তাঁর সম্পত্তির ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটেছে বলে দাবি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভারতীয় অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্তরী নরেন্দ্র মোদিও। তাতেই তিনি অম্বানিকে ঢের পিছনে ফেলে দিয়েছেন বলে দাবি অর্থনৈতিক সংস্থা ব্লুমবার্গের।