পানাজি : গোয়ায় সরকার গঠনের পথে বিজেপি। ৪০ আসনের গোয়ায় বিজেপির এখন পর্যন্ত দখলে ১৯টি। এই পরিস্থিতিতে আজই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারে গেরুয়া শিবির। সরকার গঠনের দাবি জানাবে তারা।


গোয়ায় মোট বিধানসভা আসন ৪০টি। ম্যাজিক ফিগার ২১। এই পরিস্থিতিতে গোয়ায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পেলেও, এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম দল বিজেপি। ৪০ আসনের গোয়ায় বিজেপির দখলে ১৯টিট, কংগ্রেসের- ১২, তৃণমূল জোট- ৩, আপ- ২টি আসনে এগিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই গোয়ায় সরকার গঠনের পথে বিজেপি। এমনকী ১৪ মার্চ শপথ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলেও খবর সূত্রের। এদিকে এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে সমর্থনের ঘোষণা করেছেন জয়ী নির্দল প্রার্থী। বিজেপিকে সমর্থনের ঘোষণা বিচোলিমের জয়ী নির্দল প্রার্থী চন্দ্রকান্ত শেটিয়ের।


এদিকে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তও দাবি করেছেন, গোয়ায় সরকার গড়বে বিজেপি, সমর্থন করবে তৃণমূলের জোটসঙ্গী এমজিপি। 


গোয়ার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা প্রমোদ সাওয়ান্ত সাড়ে তিনশো ভোটের মার্জিনে এগিয়ে । সাঙ্কুলিম আসনের প্রার্থী তিনি। এদিকে পানাজি (Panaji) আসনে ৮০০ ভোটে পরাজিত উৎপল পর্রীকর (Utpal Parrikar)। বিজেপি (BJP) টিকিট না দেওয়ায় প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের ছেলে উৎপল এবার নির্দল হয়ে লড়েন। এদিন গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উৎপল পর্রীকর (Utpal Parrikar) বলেন, "নির্দল প্রার্থী হিসেবে যথেষ্ট কঠিন লড়াই ছিল। আমি সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। লড়াই নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে ফল নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।  


উল্লেখ্য, গোয়ায় এবার বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি বা MGP-র সঙ্গে নির্বাচন পূর্ববর্তী জোট করে ঘাসফুল শিবির। ২০১৭ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি।  ২০১২ সালেও গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডি’সুজা। গোয়া বিধানসভার ৪০টি আসনের মধ্যে, ২০-টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ১ দশমিক ৮১%।