পানাজি: বিধানসভা নির্বাচনের এক মাস আগে ধস গোয়ায় ধাক্কা বিজেপি-র (Goa Assembly Elections 2022)। এক দিন আগেই দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী মাইকেল লোবো (Michael Lobo)। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। একই সঙ্গে কংগ্রেসে (Congress) গিয়ে উঠলেন তাঁর স্ত্রী ডেলায়লা লোবোও (Delilah Lobo)।


বিজেপি ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে লোবো বলেন, ‘‘বিজেপি আর সাধারণ মানুষের দল নেই। ভোটাররাই আমাকে এ কথা বুঝিয়েছেন।’’ তবে লোবোর চলে যাওয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। কিছু লোভী মানুষ দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলে, তাতে লাভ বই ক্ষতি নেই বলে মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের।


রাজনীতিক হিসেবে গোয়ায় বেশ জনপ্রিয় লোবো। সেখানকার ৪০টিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে তাঁর দাপট রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাই লোবোকে পেয়ে কংগ্রেসের শক্তি বাড়ল বলে মনে করছেন তাঁরা।



আরও পড়ুন: TMC on Goa Polls: ক্ষমতায় এলে বাস্তুজমির মালিকানা, গোয়ায় ‘খেলা’ পাল্টে দেওয়ার ঘোষণা তৃণমূলের


গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত যদিও লোবোর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘বিজেপি একটি বৃহৎ পরিবার, যারা ভক্তিভরে মাতৃভূমির সেবা করে চলেছে। কিছু লোভী মানুষ, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির করতে গিয়ে আমাদের সুশাসনের ব্রত থেকে টলাতে পারবেন না। গোয়াবাসী আমাদের শাসন এবং উন্নয়ন দেখেছেন। আমি নিশ্চিত আরও এক দফা আমাদের রেখে দেবেন তাঁরা।’’


তবে সাওয়ন্ত আত্মবিশ্বাসী হলেও, গোয়া বিজেপি-র অন্দরেও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ শুধু লোবোই নন, মায়িমের বিধায়ক প্রবীণ জান্তেও বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ২০১৭ সালে মনোহর পর্রীকরের অনুরোধেই তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রবীণ। অন্য দিকে, লোবো জানিয়েছেন, মনোহর পর্রীকর বেঁচে থাকলে তাঁকে এই পদক্ষক্ষেপ করতে হতো না। এই নিয়ে গোয়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তিন বিধায়ক পর পর বিজেপি ছাড়লেন।