নয়াদিল্লি: আন্দোলন করতে গিয়ে কতজন কৃষকের মৃত্যু (Farmer's Death) হয়েছে, তার পরিসংখ্যান সরকারের (Central Government) কাছে নেই। লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক (agriculture ministry)। মৃত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়টিও খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


লকডাউনের (Lockdown) সময়ে ঘরে ফেরার পথে কতজন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল? পরিসংখ্যান দিতে পারেনি মোদি সরকার (Narendra Modi)। কোভিডের মধ্যে শুধু অক্সিজেনের অভাবে ক’জন মারা গিয়েছিলেন? তাও বলতে পারেনি কেন্দ্র। আর বুধবার সংসদ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকার জানাল, দীর্ঘ ১ বছর ধরে চলা আন্দোলনের সময় কতজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও রেকর্ডই নেই সরকারের কাছে। তাই এই বিষয়ে আর্থিক সাহায্যের প্রশ্নই ওঠে না!


বুধবার কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) তোলা প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক উন্নয়নমন্ত্রক। যা নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।


আন্দোলনে ক’জন কৃষকের মৃত্যু? তথ্য নেই মোদি সরকারের কাছে। দীর্ঘ একবছর ধরা চলা আন্দোলন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির চাপ। একের পর এক বিতর্ক...সমালোচনার মুখে শেষপর্যন্ত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলও পাস করায় মোদি সরকার। 


যদিও সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দাবি করে, ৭০০-র বেশি মৃত আন্দোলনকারীর পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, সুনিশ্চিত MSP-সহ অন্যান্য দাবি পূরণ না হওয়া অবধি, আন্দোলন চলবে। কৃষকদের ইস্যু ছাড়াও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদের সাসপেনশন নিয়েও উত্তাপ ছড়াচ্ছে শীতকালীন অধিবেশনে। 


সাসপেনশনকে অনৈতিক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবিতে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। উল্টোদিকে, সরকারপক্ষ বলছে, আগে ক্ষমা চান! তারপর সাসপেনশন তোলার প্রসঙ্গ! সবমিলিয়ে একদিকে কৃষকদের দাবিদাওয়া, আরেকদিকে ১২ জন রাজ্যসভার সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।