নয়াদিল্লি : সামনেই গুজরাত বিধানসভা ( Gujrat Assembly Election) নির্বাচন। ঠিক তার আগে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ঘটে গেল প্রধানমন্ত্রীর ( Narendra Modi ) নিজের রাজ্যে। ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। সকাল ৬ টায় পাওয়া খবর অনুসারে, ১৪০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা। ১০০ জনেরও বেশি আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। ছটপুজোর সন্ধেয় এই দুর্ঘটনা পরই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে ( Gujrat CM ) ফোন করেন নরেন্দ্র মোদি।
' ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? '
গুজরাতের মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীর ওপর সেতু ভাঙার ঘটনায় বিরোধীদের এবং স্থানীয়দের প্রশ্ন, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই কীভাবে খুলে দেওয়া হল এই সেতু? উঠেছে সিবিআই তদন্তের দাবি। মেরামতির ৪ দিনের মাথায় গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর ভেঙে পড়ল কেবল ব্রিজ। আর এই বিপর্যয় নেমে এল প্রধানমন্ত্রীর গুজরাত সফরের মধ্যেই।
৫ সদস্যের কমিটি
প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র পটেল ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়েছে গুজরাত সরকার। গুজরাতে ভোটের আগে এই সেতু বিপর্যয় ঘিরে রাজনীতির পারদও চড়ছে। গুজরাত সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে আম আদমি পার্টি।
মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পরে, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যান গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল। বিপর্যয়ের পরপরই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন, মোরবিতে যে বিপর্যয় ঘটেছে, তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল-সহ অন্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। পুরোদমে চলছে উদ্ধার কাজ। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
সামনে এসেছে দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তের একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে অনেকে উঠে পড়েছেন ওই কেবল ব্রিজের ওপরে। বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটে ফায়দা তুলতেই তড়িঘড়ি সেতু খুলে দিয়ে বিপদ ডেকে এনেছে সে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি।