নয়াদিল্লি: দীর্ঘ জল্পনার অবসান। কংগ্রেসেই যোগ দিলেন সিপিআই-এর জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য কানহাইয়া কুমার। ভগৎ সিংয়ের জন্মদিনের পরদিনই কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া। হাত ধরলেন গুজরাতের নির্দল বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণীও।
কানহাইয়া কুমার জাতীয় রাজনীতির পরিচিত তরুণ মুখ। নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা হোক বা বিজেপিকে চাছাঁছোলা আক্রমণ-- কানহাইয়া কুমার অল্পদিনের মধ্যেই লাইমলাইটে চলে আসেন।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। এরপর লোকসভা ভোটে বিহারের বেগুসরাই থেকে সিপিআই-এর টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং বিজেপির হেভিওয়েট নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে পরাজিত হওয়া-- কানহাইয়া কুমারের রাজনৈতিক উত্থান হয়েছে উল্কাগতিতে।
জেএনইউকাণ্ডে সিপিআই-এর ছাত্র সংগঠন এআইএসএফ-এর নেতা কানহাইয়ার গ্রেফতারির পর তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের তৎকালীন সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। বলেছিলেন, কানহাইয়া দেশবিরোধী স্লোগান দেননি।
এবার তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন গুজরাতের নির্দল বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণীও।
এদিন কানহাইয়া কুমার বলেন, কংগ্রেস হল একটা বিশাল জাহাজ। যদি একে বাঁচানো যায়, তাহলে আমার বিশ্বাস, বহু মানুষের আকাঙ্খাও বাঁচবে। সুরক্ষিত থাকবে মহাত্মা গাঁধীর ঐক্যতা, ভগৎ সিংহের সাহস এবং অম্বেডকরের সমানতা। সেই কারণেই আমি যোগ দিলাম। তিনি বলেন, কংগ্রেস স্রেফ একটা দল নয়, কংগ্রেস দেশের সবচেয়ে পুরনো ও সর্বাধিক গণতান্ত্রিক দল। শুধু আমি নই, অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেস ছাড়া এই দেশ বাঁচবে না।
মঙ্গলবার, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দিল্লির শহিদ-ই-আজম ভগৎ সিং পার্কে যান কানহাইয়া। ভগৎ সিংয়ের জন্মবার্ষিকীর দিন তাঁর মূর্তিতে মালা দিয়ে কংগ্রেস যাত্রা শুরু করলেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি।
কানহাইয়ার কংগ্রেসে যোগদানকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, কত বড় বড় কথা শুনলাম। ওকে হিরোর মর্যাদা দেওয়া শুরু হল। এখন ফুটো নৌকায় গিয়ে যোগ দিল।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ, যে কেউ যেখানে ইচ্ছে যোগ দিতে পারে। আমাদের একমাত্র শত্রু বিজেপি।