রাজীব চৌধুরী, আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ: ভোটের মুখে কংগ্রেস ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। শীঘ্রই তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
আজ বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা যায় ফালেইরোর গলায়। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলত্যাগে প্রভাব পড়বে না। দাবি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর।
ত্রিপুরার মতোই গোয়াতেও জমি তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। আর সেখানেও তাদের নজরে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীরা। আর এই আবহেই ভোটমুখী গোয়ায় ধাক্কা খেল কংগ্রেস।
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে কংগ্রেস ছাড়লেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। সোমবার নাভেলিমের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ৭১ বছরের এই প্রবীণ নেতা।
জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করতে শোনা যায় তাঁকে। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেত্রী যিনি মানুষের জন্য রাস্তায় নেমে লড়াই করেন। তিনিই একমাত্র নেত্রী যিনি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন। আর এর জন্যই, আমাদের উচিত তাঁকে সমর্থন করা।
সূত্রের খবর,খুব শিগগিরই লুইজিনহো ফালেইরো তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তৃণমূল লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় বলেন, গোয়াতে পা রাখতে চলেছি, প্রার্থী দেব, আরও বড় নাম আসছে সব।
দু’দফায় বছর খানেকের জন্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লুইজিনহো ফালেইরো। ছিলেন এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক। ২০১৩-তে উত্তর-পূর্বের ৭ রাজ্যের কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় লুইজিনহো ফালেইরো।
ভোটের মুখে তাঁর দলত্যাগকে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও কংগ্রেস তা মানতে নারাজ। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা বললেন, ও পচে গেছে, পচাধসা নিয়ে যাবে। ওইজন্য একজন ওই ধর্মের নেতা ও একজন ফুটবলারকে পাঠিয়েছে ম্যানেজ করার জন্য। যেখানে যা পাবে নেবে। এরা হচ্ছে কংগ্রেসের বোঝা। কংগ্রেসের যেগুলো বোঝা সেগুলোকে ওরা নেওয়ার চেষ্টা করছে, যদি কোনও কিছু করা যায়।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরার পাশাপাশি গোয়াতেও সমীক্ষার কাজ চালাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের টিম আই-প্যাক। সম্প্রতি গোয়া সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, পুজোর পরে গোয়া যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে তৃণমূল। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে গোয়ায় ভোট। তার আগে উপকূলবর্তী এই রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের লক্ষ্যে তৃণমূল কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।