হায়দরাবাদ: স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করার অপরাধে ২৭ বছর বয়সী মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল হায়দরাবাদের বিশেষ আদালত। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কে জ্যোতি ওরফে মঞ্জুলা নামে ওই মহিলা স্কুলের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করত। পকসো আইন ও ধর্ষণ সংক্রান্ত বিশেষ মামলার শুনানির জন্য গঠিত হায়দরাবাদের ফাস্ট ট্র্যাকের বিশেষ আদালত তত্ত্বাবধানে একটি ছেলেকে যৌন নির্যাতনের জন্য মঞ্জুলাকে দোষী সাব্যস্ত করে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। নির্যাতিত বালকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মঞ্জুলার বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করে চন্দ্রযানগুট্টা থানার পুলিশ। পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৪, ৫০৬ ধারাতেও মামলা করা হয়।
অভিযোগপত্রে বালকের বাবা জানিয়েছিল, ছেলের শরীরে পোড়ার দাগ দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। ছেলেকে জিজ্ঞেস করায় গোটা বিষয়টির খোলসা হয়। নির্যাতিতর বাবা বলেন, ছেলে আমাকে বলেছে, স্কুলে এক নতুন মহিলা কেয়ারটেকার এসেছে। যখনই সে শৌচাগারে যায়, তখনই ওই মহিলা তাকে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করে। বালক তার বাবাকে জানায়, স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মহিলা তার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করতে শুরু করে।
পুলিশের দাবি, ছেলেটি তার বাবাকে বলেছিল, অভিযুক্ত তাকে হুমকিও দিয়েছে, এই বলে যে এই কথা কাউকে বললে, ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে। এমনকি মহিলা তাকে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিত বলে অভিযোগপত্র জানিয়েছে নির্যাতিতর বাবা।
পরে মহিলা ছেলেটিকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তে উঠে আসে, তাকে আরও ভয় দেখানোর জন্য এবং তার বাবা-মায়ের কাছে সে যাতে কিছু প্রকাশ না করে তার জন্য মহিলা তাকে বারবার যৌন নির্যাতন করত। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশি তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং সরকারি কৌঁসুলি আয়েষা রাফাতের উপস্থাপিত যুক্তিগুলির ভিত্তিতে অভিযুক্ত মহিলাকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয় আদালত।