নয়াদিল্লি: ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কের আবহে নতুন আবিষ্কার আইআইটির। বিশেষ কিট আবিষ্কার করল আইআইটি দিল্লির (IIT- Delhi) কুসুমা স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (Kusuma School of Biological Sciences)। এই কিটের সাহায্যে আরটি-পিসিআর-এর (RT-PCR) মাধ্যমে জানা যাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে (Omicron B.1.1.529.1) কেউ আক্রান্ত কি না।
কীভাবে মিউটেশন (Mutuation) হচ্ছে তা মূলত দেখা হয়েছে এই গবেষণায়। নির্দিষ্ট মিউটেশন শনাক্ত করতে পারবে এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই কিট। যা ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্টে উপস্থিত এবং SARS-CoV-2 এর অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টে অনুপস্থিত। ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে ভাইরাসের প্রজাতিতে নতুন কোনও জিন যোগ হয়েছে কি না। এস জিনে কোন পদ্ধতিতে মিউটেশন হচ্ছে তাও লক্ষ্য করা হয়।
বর্তমানে সারা বিশ্বেই ওমিক্রন শনাক্তকরণের জন্য নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (Next-Generation Sequencing) পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। যাতে রিপোর্ট আসতে প্রায় ৩ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ৯০ মিনিটের মধ্য়ে জানা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত কি না। একজন নয় একাধিক ব্যক্তির এর মাধ্য়মে পরীক্ষা করা সম্ভব। এর আগে আইআইটি দিল্লি আরটিপিসিআর কিট তৈরি করেছিল। যা আইসিএমআর অনুমোদন দিয়েছিল।
করোনার (Corona) ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টে প্রথম মৃত্যু বিশ্বে। নিশ্চিত করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী বরিস জনসন (Boris Johnson) জানিয়েছেন, ব্রিটেনে এক ব্যক্তি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এদিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে একজন রোগীর ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ভয়ঙ্কর নয় এমন ধারণা সরিয়ে রাখা উচিত। যেসব জায়গায় জনসংখ্যা বেশি সেখানেই ছড়াতে পারে করোনা। তাই এই পরিস্থিতি দ্রুত বুস্টার নিয়ে নিতে হবে।'' তিনি জানিয়েছেন, লন্ডনে মোট করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। গতকালই তিনি জানিয়েছেন ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ইংল্যান্ডের সব প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার দেওয়ার কাজ শেষ হবে।