নয়াদিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইসিএমআর-এর (ICMR)। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের এপিডিমিওলজি এন্ড কমিউনিকেবল ডিজিজের প্রধান ডা. সমীরণ পাণ্ডা গতকাল সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, যেসব রাজ্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েনি, সেই রাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যা তৃতীয় ঢেউয়ের (Third Wave) প্রাক পর্ব বলা যেতে পারে।


এই আশঙ্কার কথা জানিয়েই রাজ্যগুলিকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সমীরণ  পাণ্ডা জানান, ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধে ছাড় দিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতির থেকে শিক্ষা নিয়ে টিকাকরণ শুরু করেছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেসব রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভায়বহতা লক্ষ্য করা যায়নি ,সেই সব রাজ্যে তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক আকার নিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ, প্রতিদিন রাজ্যগুলিকে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু সংখ্যার দিকে নজর দিতে হবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ধরন কেমন ছিল, নজর দিতে হবে সেদিকেও। সব দিক পর্যালোচনা করে করোনা সংক্রান্ত বিধি বা গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।


আরও পড়ুন: মিজোরামে দৈনিক আক্রান্তের ১৮ শতাংশই শিশু! শীঘ্রই আসন্ন তৃতীয় ঢেউ?


উল্লেথ্য দেশে ৫০ শতাংশেরও বেশি শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছে, চতুর্থ জাতীয় সেরো সার্ভে রিপোর্টে এমনটাই তথ্য মিলেছে।  এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা প্রসঙ্গে সমীরণ পাণ্ডা জানান, অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ মেই। যে সমস্ত রাজ্যে টিকাকরণের হার ভাল, তারা ধীরে ধীরে স্কুল খুলতে পারে, মত আইসিএমআর-এর গবেষকের। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য অবশ্যই করোনা সংক্রান্ত গাইডলাইনকে সামনে রেখেই এই কাজ করতে হবে।  


ডা. সমীরণ পাণ্ডা বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষাকর্মী, বাস চালক, কনডাক্টরের টিকার দুটি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। করোনা গাইডলাইন মানা বাধ্যতামূলক। স্কুলের সামনে করোনা গাইডলাইনের একটি নির্দেশিকা টাঙিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যেসব রাজ্যে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব বেশি ছিল তারা স্কুল খুলতে পারে। তবে যারা দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক রূপ দেখেযেতে পারে বলে তাঁর মত।


আরও পড়ুন: দেশে কোভিড টিকাকরণে ১ নম্বরে উত্তরপ্রদেশ, দু'টো ডোজের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র