নয়াদিল্লি: মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার দিনই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UN Security Council) আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে প্রস্তাব পাশ হল।  ১৩টি রাষ্ট্রের সমর্থনে পাশ হয়েছে প্রস্তাব। তবে প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনও ভোটও পড়েনি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যে আফগান বা বিদেশি নাগরিকরা কাবুল (Kabul) ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের নিরাপদে আফগানিস্তান ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মহিলা, শিশু ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষার ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে প্রস্তাব। যদিও চিন ও রাশিয়া এই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি।  


আরও পড়ুন: 'মার্কিন সেনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে আমার ভাইকে প্রকাশ্যে খুন করেছে তালিবানরা'


বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানান, প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মাটিকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী হামলা ও জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। অগস্টে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পৌরহিত্যর দায়িত্ব ছিল ভারতের। এই প্রস্তাব পাশের সময় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে পৌরহিত্য করেন বিদেশ সচিব শ্রিংলা।  


২০ বছরের যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসান। নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই আফগানিস্তানের মাটি ছাড়ল মার্কিন সেনা। পেন্টাগন জানিয়েছে, সময়সীমার একদিন আগে, অর্থাৎ ৩০ অগাস্ট সব মার্কিন সেনাকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  শেষ সৈনিক হিসেবে সি-১৭ বিমানে ওঠেন মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহিউ।  


গতকাল পাঁচটি বিমানে করে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর শেষ ব্যাটালিয়ন আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছে। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, মার্কিন এবং আফগানদের বের করে আনার জন্য আমেরিকা চেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাজ করবে। কাবুল বিমানবন্দর পুনরায় চালু হওয়ার পর সেখানে চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে তাঁদের প্রস্থান নিশ্চিত করবে।


আরও পড়ুন: কীভাবে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসকে সুরক্ষিত রেখেছিল মায়া, ববি ও রুবি ?


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমেরিকান জনগণের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। এর পাশাপাশি তিনি জানান, আফগানিস্তানে আমাদের ২০ বছরের সামরিক উপস্থিতি শেষ হয়েছে। ১ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি আমেরিকা, আফগানিস্তান ও অন্য দেশের নাগরিকদের কাবুল থেকে সরানো হয়েছে।