নয়া দিল্লি: লাদাখে প্রকৃত সীমান্তরেখার ওপারে সেনা সংখ্যা বাড়াচ্ছে চিন। এই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করলেও, সেনাপ্রধান বুঝিয়ে দিয়েছেন, চিনকে জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনীও।এই পরিস্থিতিতে লাদাখের রেজিংলায়, সেনাঘাঁটিতে দাঁড়িয়ে বেজিংকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে।
লাদাখকে ঘিরে ফের সীমান্ত-সংঘাতের আবহ! প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা ওপারে ক্রমশ সেনা বাড়াচ্ছে চিন। সঙ্গে বাড়ছে সংঘাতের আশঙ্কাও। সে প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, "উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করেছে চিন, সংখ্যা বাড়িয়েছে, অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, যেকোনও ধরনের থ্রেটের মোকাবিলা করার জন্য।"
গতবছর, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায়, ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে চিনা ফৌজের হামলার পর থেকেই লাদাখের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। এরপর থেকে লাদাখকে ঘিরে লাগাতার দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। তবে লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৈরি ভারত সেনা। পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে এম-৭৭৭ ও কে নাইন বজ্র হাউইৎজার কামান। নিয়মিত চলছে মহড়া।
এদিকে শনিবারই মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে লেহ-তে বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় পতাকা ওড়ানো হয়। ২২৫ ফুট দীর্ঘ এবং ১৫০ ফুট প্রস্থের খাদির জাতীয় পতাকার ওজন ১,৪০০ কেজি।
এক মাস আগে পূর্ব লাদাখের গোগরায় প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৭ এ থেকে সেনা সরিয়েছিল ভারত ও চিন। সরকারি সূত্রে খবর, দু’দেশের আলোচনার ভিত্তিতে যৌথ সম্মতিক্রমে গোগরা থেকে সেনা সরানো হয়েছে। দু’দেশই সেনা সরাতে রাজি হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ‘কম্যান্ডারদের বৈঠকে সেনা সরানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে ভারত ও চিন। পারস্পরিক সহযোগিতা ও সেনা সরানোর বিষয়টি যাচাই করতে রাজি হয়েছে দু’দেশ। পর্যায়ক্রমে গোগরা প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৭ এ থেকে সেনা সরানো হয়েছে। ৪ ও ৫ অগাস্ট গোগরা থেকে সেনা সরানো হয়েছে। দু’দেশের সেনাবাহিনীই স্থায়ী জায়গায় ফিরে গিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বছর গালওয়ানে ভারত-চিন সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই দফায় দফায় বৈঠকের মাধ্যমে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা চালাচ্ছে দু’দেশ। ৩১ জুলাই পূর্ব লাদাখের চুসুল মলডো মিটিং পয়েন্টে দু’দেশের সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার পর্যায়ের দ্বাদশ রাউন্ডের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই গোগরা অঞ্চল থেকে সেনা সরানো হয়েছিল।