নয়াদিল্লি: আর মাত্র একটা বছর। তারপরেই চিনকে ছাপিয়ে এক নম্বরে চলে যাবে ভারত। তবে অর্থনীতিতে নয়, জনসংখ্যায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির যা হার, তাতে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চিনকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠবে ভারত। এমনই ইঙ্গিত দিল ইউনাইটেড নেশনসের (United Nations) একটি রিপোর্ট। চলতি বছরেই নভেম্বর মাসে বিশ্বের জনসংখ্য়া দাঁড়াবে ৮ বিলিয়নে। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট বের করেছে ইউনাইটেড নেশনস।
চিনকে পিছনে ফেলবে ভারত:
এখন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এখানেই বিশ্বের জনসংখ্যায় ২৯ শতাংশ রয়েছে। এরপরেই রয়েছে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া যেখানে গোটা বিশ্বের ২৬ শতাংশ নাগরিক রয়েছেন। এর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা চিন ও ভারতে, প্রতিটি দেশে ১.৪ বিলিয়নেরও বেশি। ২০২২ সালের হিসেব অনুসারে ভারতের জনসংখ্যা ১.৪১২ বিলিয়ন এবং চিনে ১.৪২৬ বিলিয়ন। ২০২৩ সালে চিনকে পিছনে ফেলবে ভারত। এখনকার হার ধরলে, ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১.৬৬৮ বিলিয়ন, যখন চিনের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১.৩১৭ বিলিয়নে।
কাদের রিপোর্ট:
আজ, সোমবার বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস (World Population Day)। সেই উপলক্ষেই এই রিপোর্ট তৈরি করেছে United Nations Department of Economic and Social Affairs-এর Population Division.
বাড়বে বিশ্বের জনসংখ্যা:
বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার পঞ্চাশের দশক থেকে ক্রমশ কমেছে। ১৯৫০ সাল থেকেই ক্রমশ নিম্নগামী। ২০২০ সালে সেটা এক শতাংশেরও নীচে নেমেছে। সেই হিসেব ধরেও ২০৩০ সালে সাড়ে আট বিলিয়ন এবং ২০৫০ সালে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৯.৭ বিলিয়নে। তারপরে আরও বাড়বে জনসংখ্যা। বৃদ্ধির হার এমন থাকলে ২০৮০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১০.৪ বিলিয়ন।
UN-এর সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেস (António Guterres) বলেছেন, 'এটি আমাদের বৈচিত্র্য উদযাপন করার, মানবতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং স্বাস্থ্যের অগ্রগতিতে উদযাপন করার সময়। স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যই আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে এবং মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। একই সঙ্গে আমাদের গ্রহের যত্ন ও নিতে হবে।'
আরও পড়ুন: অমরনাথ বিপর্যয়ের নেপথ্যে মেঘভাঙা বৃষ্টি না হড়পা বান? দুটো কি আলাদা?