নয়াদিল্লি: পরীক্ষামূলক ভাবে সূচনা হয়েছিল পরিবর্তনের। এ বার বায়ুসেনায় (Indian Air Force) মহিলাদের স্থায়ী নিযুক্তি হতে চলেছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারতীয় বায়ুসেনায় এখন থেকে স্থায়ী ভাবে মহিলা যুদ্ধবিমান পাইলট (Fighter Jet Pilot) নিয়োগ করা হবে (Women Pilot Recruitment in Air Force)। নারীশক্তির হাত মজবুত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।


মঙ্গলবার সংসদে বাজেট পেশের (Union Budget 2022) সময় নারীশক্তিকে (Nari Shakti) গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তার পর রাতেই বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান চালানোয় মহিলাদের স্থায়ী নিয়োগের কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister) রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh)। তিনি জানান, এত দিন পরীক্ষামূলক ভাবে বায়ুসেনায় মহিলা পাইলটদের যে নিয়োগ চলছিল, তাকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।


মঙ্গলবার টুইটারে রাজনাথ লেখেন, ‘বায়ুসেনায় মহিলা যুদ্ধবিমান পাইল নিয়োগের পরীক্ষামূলক প্রকল্পকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এই সিদ্ধান্ত দেশের নারীশক্তির এবং নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতিপূরণের প্রমাণ।’



আরও পড়ুন: Weather Update India: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতে, চলবে পারদের ওঠানামা, জানাল আইএমডি


ভারতীয় বায়ুসেনায় বরাবর পুরুষপ্রধানই থেকেছে। কিন্তু  কয়েক মাস আগে বায়ুসেনায় মহিলাদের নিযুক্তির রাস্তা সুগম করে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ। তাতে এ বার পাকাপাকি ভাবে সিলমোহর দিল কেন্দ্র।


এর আগে, ২০১৮ সালে অবনী চতুর্বেদী একা যুদ্ধবিমান চালিয়ে ইতিহাস রচনা করে। সম্পূর্ণ একা মিগ-২১ বাইসন ওড়ান তিনি। কেন্দ্রীয় সরকার পরীক্ষামূলক ভবে বায়ুসেনায় মহিলাদের নিযুক্তিতে সায় দেওয়ার পর ২০১৬-র জুলাই মাসে তিন মহিলা পাইলটের একটি দলের প্রবেশ ঘটে বায়ুসেনায়। ওই দলেরই অংশ ছিলেন অবনী।


২০২০ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতেও প্রথম মহিলা পাইলটের একটি দলকে নিয়োগ করা হয়। আইএনএস বিক্রমাদিত্য-সহ নৌবাহিনীর ১৫টি যুদ্ধজাহাজে ২৮ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। আগামী নিদেন আর মহিলা নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে নৌবাহিনীর।


২০১৯ সাল থেকে সেনা পুলিশেও মহিলাদের নিযুক্তি শুরু হয়েছে। পুলিশ ক্যান্টনমেন্ট, সেনা শিবিরে ডিউটিতে রয়েছেন তাঁরা। সেনাকর্মীরা বিধি লঙ্ঘন করছেন কি না, তাঁদের গতিবিধি, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে অস্ত্রশস্ত্রের হিসেব দেখা থেকে সিভিল পুলিশের সহযোগিতার দায়িত্বও রয়েছে।