শ্রীনগর : ভূস্বর্গে ভয়ঙ্কর গুলির লড়াই। কয়েক ঘণ্টার লড়াই শেষে নিকেশ ২ জঙ্গি (terrorists gunned down)। এনকাউন্টারের (encounter) সময় ৩ সেনা (army) জওয়ানের আহত হওয়ারও খবর মিলেছে। শেষ পাওয়া খবর, আহত ৩ জনের মধ্যে এক জওয়ান শহিদ হয়েছেন। কাশ্মীর জোনের ইনপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শ্রীনগর (Srinagar) শহরে এনকাউন্টারে নিকেশ করা হয়েছে দুই জঙ্গিকে। যে দু'জন জঙ্গিকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন কিছুদিন আগে কাশ্মীরে সিআরপিএফ জওয়ানদের (CRPF Personal) ওপর হওয়া হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গত ৪ এপ্রিল মাইসুমা এলাকায় যে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।


সেনার এনকাউন্টারের প্রস্তুতি


বিষ্ণেমনগর এলাকায় কুখ্যাত দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিক খবর এসে পৌঁছয়। নিশ্চিত হওয়ার পরই সেনার একাধিক ফোর্স ও কাশ্মীর জোনের পুলিশ ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা। সেনা-পুলিশের ঘেরাটোপে বন্দি হয়ে যাওয়ার বিষয়টা বুঝতে পেরেই গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। দ্রুত পজিশন নিয়ে ফেলে জঙ্গিদের বাগে আনতে পাল্টা এনকাউন্টার প্রক্রিয়া শুরু করে সেনা-পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা ধরে এনকাউন্টার চলার পথে শেষমেশ সিরআরপিএফের ওপর কিছুদিন আগে হামলা চালানো দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। যদিও এনকাউন্টারের মাঝে আহত হন তিন জদওয়ান। পরে একজন শহিদও হন।






প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই শ্রীনগরে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা করেছিল। শ্রীনগরের (srinagar) আমিরা কাদাল বাজারে গ্রেনেড (grenade) হামলা করেছিল জঙ্গিরা। ভরা বাজারে গ্রেনেডের আঘাতে একাধিক সাধারণ নাগরিক গুরুতর জখম হন। পরে জখমদের মধ্যে দুই জন মারা যান। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক তরুণীও। ওই হামলায় জখম হয়েছিলেন জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক জওয়ানও। ঘটনার পরেই এলাকা কর্ডন করেছিল পুলিশ। শুরু হয়েছিল তদন্তও। দ্রত অপরাধীদের ধরতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল একাধিক আধুনিক প্রযুক্তির (modern technology)। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কিছুদিন পরেই জম্মুর উধমপুরে জেলা আদালত চত্বরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মারা যান এক ব্যক্তি।


আরও পড়ুন- বিভিন্ন জায়গায় গুলির লড়াই, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত একাধিক জঙ্গি