নয়াদিল্লি: জম্মুতে এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন হামলার তদন্তে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এয়ারফোর্স স্টেশনে হামলা চালানো হয় চিনে তৈরি ড্রোন দিয়ে। এখানেই শেষ নয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করেছে চিন। পরবর্তীকালে, লস্কর-ই-?তৈবা জঙ্গি সংগঠনকে ড্রোন দিয়েছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই।
গোয়েন্দাদের দাবি, ২০২০ সালে কাবুলেও একই ধাঁচে হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা। সেই ড্রোন থেকে ছোড়া হয়েছিল গ্রেনেড। জম্মুর বায়ুসেনা স্টেশনের হামলাতেও প্রায় একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে হামলার ঘটনার তদন্তভার নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। গতকালই এই মর্মে সিদ্ধান্তগ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাশাপাশি, বায়ুসেনার তরফেও করা হচ্ছে গোটা ঘটনার তদন্ত।
ইতিমধ্যই, জম্মুর সাতওয়ারি থানায় নতুন করে এফআইআর দায়ের করেছে এনআইএ। সেখানে, ভারতীয় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল গভীর রাতে ফের জম্মুর সেনা ঘাঁটির ওপরে দেখা মেলে ড্রোনের। সেনা সূত্রে খবর, গতকাল তিন-তিনবার সুঞ্জুয়ান সেনা ঘাঁটির ওপর ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
প্রথমবার রাত ১টা ৮ মিনিটে, এরপর রাত ৩টে ৯ মিনিট এবং শেষবার ভোর ৪টে ১৯ মিনিটে সন্দেহজনক ড্রোনকে চক্কর কাটতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই ড্রোনের মাথায় ছিল সাদা আলো। গতকাল কালুচক সেনা ঘাঁটির ওপরেও ড্রোন উড়তে দেখা যায়।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
সেখানে জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে হামলার প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে ড্রোন হামলার শঙ্কা-সম্ভাবনা ও সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
জঙ্গি নাশকতা মোকাবিলায় জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশন চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি কমান্ডোদের। রয়েছে বায়ুসেনার গরুড় কমান্ডোরাও।
শনিবার গভীর রাতে, ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে। বিস্ফোরণের জেরে ভাঙে ব্যারাকের ছাদ। আহত হয়েছিলেন বায়ুসেনার ২ কর্মী।