নয়াদিল্লি:ফের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। আর এবার তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা শোনা গেল বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীর গলাতে।  বরুণ গাঁধী কঙ্গনার বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, কঙ্গনার এই চিন্তাভাবনা পাগলামি বলব, না দেশদ্রোহিতা।  দেখে নেওয়া যাক, কঙ্গনার বিরুদ্ধে কেন সমালোচনায় সরব হলেন বরুণ গাঁধী। 


কঙ্গনা বলেছিলেন যে, দেশ প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বরুণ গাঁধী বিস্ময় প্রকাশ করে বললেন, ‘এ ধরনের চিন্তাভাবনা পাগলামি, না দেশদ্রোহিতা!’ 


কঙ্গনা রানাউতের ওই মন্তব্যের ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বহু সেলিব্রিটিই কঙ্গনার মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। 


উল্লেখ্য, এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন।  এর প্রতিক্রিয়ায় বরুণ গাঁধী ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘কখনও মহাত্মা গাঁধীর ত্যাগ ও  তপস্যার অপমান, কখনও তাঁর হত্যাকারীর প্রতি শ্রদ্ধা, আর এখন মঙ্গল পান্ডে থেকে শুরু করে রানী লক্ষ্মীবাই, ভগৎ সিংহ, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ও লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানকে চূড়ান্ত অবজ্ঞা। এই চিন্তাভাবনাকে পাগলামি, না দেশদ্রোহ বলা যায়?’


স্বাধীনতাকে ভিক্ষে বলা কঙ্গনার মানসিক দেউলিয়াপনা-সিরসা


শুধু বরুণ গাঁধীই নন, অকালি দলের শীর্ষ নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসাও কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য সম্পর্কে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মনজিন্দর সিংহ সিরসা ট্যুইট করে বলেছেন, মণিকর্নিকা-র অভিনেত্রী কীভাবে স্বাধীনতাকে ভিক্ষে বলে অভিহিত করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ সংগ্রামী শহিদত্বের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ভিক্ষে বলা কঙ্গনা রানাউতের মানসিক দেউলিয়াপনা। 


কী বলেছিলেন কঙ্গনা?


কঙ্গনা এক সাক্ষাৎকারে স্বাধীনতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন,  স্বাধীনতা যদি ভিক্ষে করে পাওয়া যায়, তাহলে তা কী করে স্বাধীনতা হতে পারে ? যে স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছিল, তা ছিল ভিক্ষে। প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়া গিয়েছে ২০১৪-তে। 
কঙ্গনার ওই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছে।