বেঙ্গালুরু: দু'মাসের সন্তানকে খুনের 'অপরাধে' যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তাও বছরপাঁচেক আগেকার কথা। এতগুলো কী ভাবে জেলে কাটালেন অন্ধ্রপ্রদেশের যুবতী? হয়তো এবার জানা যাবে। কারণ নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে তাঁকে মুক্তি (acquit) দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট (karnataka high court)। জানিয়েছে, এমন কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি যাতে কবিতার বিরুদ্ধে নিজেরই সন্তানকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
কী হয়েছিল?
কিন্তু মুক্তিতেও কি এত দিনের গ্লানি মিটবে? এক দিকে সন্তানশোক, অন্য দিকে খুনের দায়। জোড়া চাপ সামলাতে গিয়ে কী অবস্থা হয়েছিল তাঁর? খোঁজ রাখেনি কেউ। শুধু কিছু তারিখ মনে রেখেছে।
খুব শ্বাসকষ্ট হত মেয়েটার। এতটাই যে তাকে স্তন্যপানও করাতে পারতেন না কবিতা। একরত্তি বাচ্চা। এমন ভোগান্তি চোখে দেখতে পারেননি মা-বাবা। চিকিৎসা করাতে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রী সত্যসাঁই জেলার মাদকাশিরার ভিটে ছেড়ে সোজা কর্নাটকের টুমাকুরুতে বাচ্চাটাকে নিয়ে এসেছিলেন কবিতা ও তাঁর স্বামী। সালটা ২০১৬। কিন্তু এর পরেই যেন সব বদলে যায়।
কবিতার স্বামী মঞ্জুনাথের অভিযোগ ছিল, ২০১৬-র ২৪ অগস্ট সুবর্ণমুখী নদীতে বাচ্চাটিকে ছুড়ে ফেলেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশে অভিযোগ হলে তদন্ত হয়। ২০১৭ সালে নিম্ন আদালত রায় দেয়, কবিতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যি। ৩০২ দণ্ডবিধির আওতায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কী বলল হাইকোর্ট:
এর পর অনেক কিছুই হতে পারত। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বদলে গেল সব। হালেই বিচারপতি কে সোমশেখর ও বিচারপতি শিবশঙ্কর অমরন্নাভরের বেঞ্চ জানায়, 'এমন কোনও অর্থবহ প্রমাণ পেশ করা হয়নি যা ওঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করতে পারে।'
অতঃপর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ছাড়া পাবেন কবিতা। কিন্তু সত্যি মুক্তি হবে কি?উত্তর দেবে সময়।
আরও পড়ুন :কেন্দ্রীয় অনলাইনে ভর্তি নিয়ে পিছু হঠল রাজ্য সরকার