নয়াদিল্লি: লাগাতার বৃষ্টিতে কেরলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু। নিখোঁজ বহু। হড়পা বান, ধসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কোট্টায়াম, পাথানামঠিট্টা, ইডুক্কি। দিল্লি থেকে উদ্ধারকার্যে পৌঁছে গিয়েছে এনডিআরএফের ১১টি দল।


সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আজ, রবিবার সকালে আরও ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোট্টায়াম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেহ। কোট্টায়াম সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গার বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা আজ বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী কে রাজন, রোশি অগাস্টিন, ভিএন বাসাভন। আজ সকাল থেকেই ইডুক্কি, কোট্টায়ামে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে এনডিআরএফের  দল। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় সেনা এবং বায়ুসেনা।


ইতিমধ্যে কেরল সরকারের পক্ষ থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু করা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। বাসিন্দাদের স্থানীয় রিলিফ সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কেরল প্রশাসন। কোভিডকালের মধ্যে বৃষ্টির জেরে তৈরি হওয়ার শঙ্কার মধ্যে অবশ্য পালনীয় করোনার যাবতীয় নিয়ম মেনেই দুর্গতদের বিভিন্ন রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেরলেনর মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।  অতি ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি এলাকাগুলির কিছু জায়গায় ধস নেমেছে। গোটা পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজের দিকটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এলাকার সমস্ত বাসিন্দারা যাতে নিরাপদে থাকেন সে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সব মহলকে বাড়তি তৎপর থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


জলের তোড়ে বেশ কিছু জায়গায় গাড়ি ভেসে যাওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। এর মাঝেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার জেরেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে ।


আরও পড়ুন: Coronavirus India Updates: গত ২২৯ দিনে দেশে করোনায় সংক্রমণ সর্বনিম্ন, কমল মৃতের সংখ্যাও