চেন্নাই: বিরল ঘটনা তো কতই ঘটে। কিন্তু একজনের দেহে পাঁচটি কিডনি? এমনটা শোনা যায়নি কখনই। তবে প্রাণ বাঁচাতে এই অসাধ্যসাধনই করল মাদ্রাজ মেডিকেল মিশনের সদস্যরা। জানা গেছে এক ব্যক্তি মারাত্মক কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এদিকে শরীরে ছিল উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। আবার কিডনি প্রতিস্থাপন না করলেও নয়। সবদিক বিবেচনা করেই পাঁচটি কিডনি বসানো হল ওই ব্যক্তির দেহে।


এটি একেবারেই বিরল অস্ত্রোপচার। অপ্রচলিতও বলা যায়। যদিও চিকিৎসকদের কথায়, এই ট্রান্সপ্ল্যান্ট পদ্ধতিটি একটি কঠিন কাজে পরিণত হয়েছিল। এর একটি কারণ, ওই রোগীর উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। দ্বিতীয়ত, এর আগেও যেহেতু রোগীর দু'বার কিডনি প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, তাই শরীরের অভ্যন্তরে ফাঁকা স্থানও ছিল না। তাই ফের কিডনি প্রতিস্থাপনে প্রাথমিকভাবে সমস্যায় পড়েন ডাক্তাররা। 


চিকিৎসক এস এস সারাবনন এই তৃতীয়বারের কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রচেষ্টার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এর আগে ওই ব্যক্তির এই একই অস্ত্রোপচার হলেও তা সফল হয়নি। উচ্চ রক্তচাপের কারণে সেই দুই অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হয়েছিল সে সময়। করোনারি আর্টারি রোগ ধরা পড়ার পর ওই রোগীর সম্প্রতি ট্রিপল বাইপাস সার্জারিও হয়েছিল। ফলে এই অস্ত্রোপচার করার সময় চিকিৎসকের দলটিকে সতর্ক থাকতে হয়েছিল।


প্রতিস্থাপনের সময়, দাতার কিডনি সাধারণত দেহের অভ্যন্তরস্থ কিডনির পাশে রাখা হয়। রেনাল ধমনী, সিলিয়াক ধমনীর সঙ্গে রেনাল শিরা, সিলিয়াক শিরা এবং মূত্রাশয়ের সঙ্গে ইউরেটার সংযুক্ত থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে নতুন কিডনির জন্য জায়গার অভাব দেখা যায়। আরেকটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তা হল নতুন কিডনির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য রক্তবাহী নালির অভাব এবং পূর্ববর্তী অস্ত্রোপচারের কারণে অনেক অ্যান্টিবডি তৈরির প্রবণতার সমস্যা ছিল।


চিকিৎসক সারাবনন জানান যে এইঅন্ত্রের মাধ্যমে  সার্জারি খুব কমই হয় বিশ্বব্যাপী।  এর ফলে প্রাণ ফিরে পান রোগী। এটি এমন একটি অস্বাভাবিক অস্ত্রোপচার, যা এখনও ভারতে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রেও দেখতে পাওয়া যায়নি।