ইন্দোর: প্রেমিকা বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আবাসনে আগুন প্রেমিকের। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh News) ইন্দোরের (Indore Arson) আবাসনে পুড়ে মৃত্যু ৭ জনের, জখম ৯ জন। প্রেমিকার সঙ্গে ওই আবাসনে অভিযুক্ত লিভ-ইন করতেন বলে জানা গিয়েছে। প্রেমিকার স্কুটারেই প্রথমে অভিযুক্ত আগুন ধরান বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তা থেকে গোটা আবাসনে আগুন ছডিয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।


লিভ-ইন পার্টনারের উপর রাগে অগ্নিসংযোগ!


পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ বিজয়নগরের স্বর্ণবাগ কলোনিতে ওই আবাসনে আগুন লাগে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা ওই তিন তলা আবাসনে ভাড়া থাকতেন। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করে দমকল। কিন্তু দমকল এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আবাসনের বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়ার পরও দমকল এবং পুলিশ দেরি করে এসে পৌঁছয় বলে দাবি করেন তাঁরা। জানান, অসহায় অবস্থায় ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিতে শুরু করেন বাসিন্দারা। 


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: 'পরিকল্পিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার চলছে', দিলীপের খুনের তত্ত্বের পাল্টা কুণালের


পরে তদন্তে নেমে ২৭ বছর বয়সি শুভম দীক্ষিতের নাম উঠে আসে। জানা যায়, যে স্কুটার থেকে আগুন ছড়ায়, তা এক তরুণীর, যাঁর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্ক ছিল শুভমের। ওই আবাসনে ঘরভাড়ায় থাকতেন তাঁরা। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)। রীতিমতো তাঁকে ধাওয়া করে বেড়াতে হয় পুলিশকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পালাতে গিয়ে পড়ে জখম হন অভিযুক্ত। তাতেই তাঁর নাগাল মেলে। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখানে এক মহিলা ছুটে এসে যুবকের গালে চড় বসিয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।


রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে


এই ঘটনায় শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকার মৃতদের পরিবারকে মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার এবং তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাজ্য পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। কিন্তু বাংলায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এর আগে বগটুইকাণ্ড নিয়ে শোরগোল বাধালেও, ইন্দোর নিয়ে কেন টুঁ শব্দটি করছে না বিজেপি, সেই প্রশ্নও তুলছেন বিরোধীরা। 


কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য, "মধ্যপ্রদেশের ঘটনার সঙ্গে বগটুইয়ের ঘটনার পার্থক্য আছে। বগটুইকাণ্ডে রাজনীতি যোগ ছিল। যে সময় ঘটনা ঘটেছিল, সেই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়ে হোটেলে গিয়ে মিটিং করছিল। মধ্যপ্রদেশে সেই ঘটনা ঘটেনি, পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।"


যদিও তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "বগটুইকাণ্ডের সময় পুলিশ হোটেলে বৈঠক করছিল, সুকান্ত মজুমদার তা দেখতে গিয়েছিলেন! যতসব আজগুবি কথা।" ইন্দোরে এই পাশবিক এবং নারকীয় ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা হয়। তা ঢাকতেই রাজ্য বিজেপি-র নেতা বগটুইয়ের ঘটনা টেনে রাজনীতি করছেন বলে দাবি করেন তিনি। আদালতের নজরদারিতে ইন্দোরের ঘটনার তদন্ত চেয়েছেন তিনি।