ভোপাল: চম্বল নদীতে (Chambal River) স্নান করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি। কুমিরের পেটে জায়গা হল এক বালকের। আর তাতেই চরম টানাপোড়েন চোখে পড়ল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। ছেলেটির পরিবার এবং পাড়া প্রতিবেশি কুমিরটিকে তুলে এনে আটকে রাখলেন। ছেলেকে উগরে না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়া হবে না বলে জেদ ধরে বসেন সকলে। তাতে কুমিরটিকে উদ্ধার করতে কার্যত হিমশিম খেতে হল পুলিশ এবং প্রশাসনকে (Crocodile Attack)। 


নদীতে স্নান করতে গিয়ে কুমিরের পেটে বালক


মধ্যপ্রদেশের শেওপুরের অন্তর্গত রঘুপুরের ঘটনা। সোমবার সকালে চম্বল নদীতে স্নান করতে দিয়েছিল ১০ বছরের এক বালক। সেই সময় কুমিরটির মুখে পড়ে সে। কুমিরটি ছেলেটিকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে আস্ত গিলে নেয় বলে অভিযোগ পরিবার এবং গ্রামবাসীদের (crocodile Swallows Boy)।


চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে হইচই শুরু হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে লাঠি হাতে কুমিরটির উপর চড়াও হন সকলে। দড়ি দিয়ে বেঁধে, জালবন্দি করে তাকে ডাঙায় তোলে। এর পর গ্রামে নিয়ে এসে তাকে আটকে রাখে। 


আরও পড়ুন: ATM Rules: এটিএম থেকে ৪ বারের বেশি টাকা তুললে কাটবে ১৭৩ টাকা ! আপনি পেয়েছেন এই মেসেজ ?


গ্রামবাসীরা নদী থেকে কুমির তুলে নিয়ে গিয়েছেন জেনে, ছুটে যায় পুলিশ এবং প্রশাসন। কুমিরটিকে মুক্ত করে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কিন্তু নাছোড়বান্দা গ্রামবাসী এবং ছেলেটির পরিবারের লোকজন তাতে রাজি হননি। কুমির ছেলেকে উগরে না দেওয়া পর্যন্ত তাকে ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। 


এর পর দীর্ঘ সময় ধরে দু'পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে। গ্রামবাসীরা দাবি করেন, আস্ত ছেলেটিকে গিলে নিয়েছে কুমির। তাই কুমিরের পেটে সে বেঁচেই রয়েছে বলে নিশ্চিত তাঁরা। তাই উগরে না দেওয়া পর্যন্ত কুমিরটিকে ছাড়ার প্রশ্ন ওঠে না। সেই নিয়ে সন্ধে পর্যন্ত চলতে থাকে তর্ক-বিতর্ক। 


প্রাণী দফতর বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়


শেষ মেশ, রাতের দিকে কুমিরটিকে হস্তান্তর করেন গ্রামবাসীরা। রঘুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যামবীর সিংহ জানিয়েছেন, স্নান করতে গিয়ে মাঝ নদীতে চলে গিয়েছিল। তখনই কুমিরের মুখে চলে যায়। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, জালবন্দি করে কুমিরটিকে টেনে নিয়ে যান গ্রামবাসীরা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে প্রাণী দফতর।