মহারাষ্ট্র: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আজ থেকে খুলছে স্কুল। প্রথম থেকে দ্বাদশ সব শ্রেণির পড়ুয়াই স্কুলে আসতে পারবে বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। স্কুলগুলিকে কোভিড প্রোটোকল যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, কোনও এলাকার স্কুল খোলা হবে কি হবে না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার স্থানীয় প্রশাসনের। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ায় এর আগে স্কুল, কলেজ-সহ বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
গত ডিসেম্বরে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) স্কুলে কার্যত করোনা বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে একসঙ্গে করোনা (COVID-19 Infection) ধরা পড়ে ৫১ জনের। এর মধ্যে ৪৮ জন পড়ুয়া এবং ৩ জন স্কুলের কর্মী। শনিবারই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা শুরু হওয়ার আগেই একসঙ্গে এত জন পড়ুয়ার আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে।
মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে এত জন পড়ুয়া এবং কর্মীর শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি সব মিলিয়ে স্কুলের ১৯ জন পড়ুয়া করোনায় সংক্রমিত হয়। তাতে আতঙ্কিত হয় স্কুলের ৪৫০ পড়ুয়া এবং কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। তাতেই সংক্রমণিতের সংখ্যা একধাক্কায় ৫১০তে গিয়ে ঠেকে।
একসঙ্গে এত জন সংক্রমিত হওয়ায় স্কুলটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছিল। স্কুল সংলগ্ন ওই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন। আক্রান্তদের মধ্যে যে সমস্ত ছাত্রের গুরুতর উপসর্গ ছিল, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের রাখা হয় নিভৃতবাসে। তবে বেশিরভাগ ছাত্রেরই মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা যায়।
অন্যদিকে স্কুল খোলা নিয়ে (School Reopen) কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হয়েছে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা। "স্কুল খোলা নিয়ে পলিসি তৈরি করুক রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।'' আবেদন জানিয়ে মামলা করেন এআইএসএফ রাজ্য সভাপতি সৌমেন হালদার।
মামলাকারীর আবেদন, "স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার সুনির্দিষ্টভাবে একটা পরিকল্পনা করুক। কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল খোলা রাখা যায় তা নিয়ে একটা নীতি তৈরি করুক রাজ্য। আদালত অবিলম্বে নির্দেশ দিক এরাজ্যে স্কুল খোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ৫০ শতাংশ হোক বা অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে হোক, অনেক কিছুই এই পরিস্থিতিতে খোলা রয়েছে।'' "সেখানে শুধুমাত্র স্কুল বা কলেজ এগুলো কেন বন্ধ থাকবে?'' প্রশ্ন মামলাকারীর। মামলাকারী আরও উল্লেখ করেছেন, “এতে সার্বিকভাবে পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে। প্রায় দুবছর হতে চলল শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। মাঝে কিছু খুললেও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার যে সিদ্ধান্ত বারবার নেওয়া হয়েছে তাতে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে। সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে বিনামূল্যে শিক্ষার সুবিধা অনলাইন ক্লাসের ইন্টারনেটের খরচের জন্য সেটাও পড়ুয়ারা পাচ্ছে না। এক্ষেত্রেও সরকারের নীতি তৈরির করা উচিত।’’
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI