নয়াদিল্লি: সেনায় স্বল্পমেয়াদি ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল দেশ। তার মধ্যেই বিতর্ক বাড়িয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। ‘অগ্নিবীর’দের (Agniveer) বিজেপি-র (BJP) কার্যালয়ে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েনের কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। তা নিয়ে এ বার কৈলাসকে একহাত নিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ‘অগ্নিপথ’-এর খলনায়ক নির্বাচন করতে হলে গোটা দেশ কৈলাসকেই বেছে নেবেন বলে মত মহুয়ার। কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গাঁধীও (Rahul Gandhi) কৈলাসের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন।
কৈলাসকে ‘খলনায়’ বেছে নেওয়ার কথা মহুয়ার মুখে
‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) বিরোধিতা কেন্দ্রের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হলেও, সোমবার দেশ জুড়ে ভারত বন্ধ পালিত হচ্ছে। সেই আবহেই কৈলাসকে ট্যুইটারে একহাত নেন মহুয়া। তিনি লেখেন, ‘‘বিজেপি-র সর্বভারতীয় সম্পাদক বলছেন, ‘বিজেপি-র কার্যালয়ে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে অগ্নিবীরদের বেছে নেব আমি।’ হ্যাঁ, আর অগ্নিপথের খলনায়ক হিসেবে আপনাকেই বেছে নেবে দেশ’।’’
দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে শনিবার মধ্যপ্রদেশের ইনদৌরে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে মুখ খোলেন কৈলাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রশিক্ষণ নিয়ে চার বছর পর অগ্নিবীররা যখন সেনাবাহিনীতে কাটিয়ে ফিরবেন, তাঁদের হাতে ১১ লক্ষ টাকা থাকবে। নামের পাশে থাকবে অগ্নিবীর তকমা। বিজেপি-র কার্যালয়ের জন্য নিরাপত্তা রক্ষী বেছে নিতে হলে, আমার কাছে অগ্নিবীররাই প্রাধান্য পাবেন।’’
কৈলাসের এই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক শুরু হতে সময় লাগেনি। রাহুল তো বটেই, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এমনকি বিজেপি-র বরুণ গাঁধীও কৈলাসের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে। রাহুলের কথায়, ‘স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও যাঁরা তেরঙ্গা উত্তেোলন করেননি, তাঁরা সৈনিকদের সম্মান করবেন, তা আশা করা যায় না। যুবসমাজের মধ্যে সেনায় যোগদানের, দেশরক্ষার উদ্যম রয়েছে, নাকি বিজেপি-র কার্যালয়ে দারোয়ান হওয়ার। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা তাঁদের এই অপমানের উপর সিলমোহরই দিচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: Anand Mahindra: প্রশিক্ষিত ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ করবে তাঁর সংস্থা, এ বার ঘোষণা আনন্দ মহিন্দ্রার
বরুণ (Varun Gandhi) ট্যুইটারে লেখেন, ‘সেনার সাহসিকতা বর্ণনায় অভিধানও কম পড়ে। তার পরেও কোনও সৈনিক যদি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে দারোয়ানের কাজ করার ডাক পান, যিনি এই আমন্ত্রণ পাঠালেন, প্রথমে তাঁর শুভ কামনা করি। ভারতীয় সোয় নিযুক্তি হওয়ার অর্থ দেশের সেবা করা, কোনও সাধারণ চাকরি নয়।’’
কৈলাসের সমালোচনায় বিজেপি-র বরুণ গাঁধীও
সোশ্যাল মিডিয়ায় কৈলাসের ওই মন্তব্যের ভিডিও-ও তুলে ধরেন বরুণ। যদিও ‘টুলকিট গ্যাং’ তাঁর মন্তব্য বিকৃত করেছে বলে দাবি কৈলাসের। তিনি শুধু ‘অগ্নিবীর’দের ভবিষ্যৎ বৃথা যাবে না বলতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন কৈলাস। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে না।