নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায়, আজ চতুর্থবার রাহুল গাঁধীকে (Rahul Gandhi) তলব ইডি-র। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাবেন কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভে সামিল হবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় এর আগে ১৩-১৫ জুন, পরপর তিনদিন প্রায় ৩০ ঘণ্টা কংগ্রেস সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র অফিসাররা। ১৭ জুন রাহুলকে ফের ডাকা হয়। কংগ্রেস সাংসদ ইডি-র কাছে সময় চেয়ে আজ হাজিরা দেবেন বলে জানান।


রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরা ঘিরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিলেন কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা। পুলিশি ধরপাকড় ঘিরে রাজধানীর রাস্তা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। সে কথা মাথায় রেখে দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতর আকবর রোডের আশপাশে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ব্যারিকেড তৈরির পাশাপাশি, প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। রাহুল গাঁধীর বাড়ির বাইরেও কড়া নিরাপত্তা ছিল।


এদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তুলে এবার অগ্নিপথ বিতর্কেও মোদি সরকারকে (Modi Government) বিঁধলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। ৮ বছর ধরে বিজেপি সরকার ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ’-কে অপমান করেছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। ট্যুইটারে লেখেন, আমি আগেই বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রীকে কালো কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক একইভাবে বীর ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে ওঁকে যুবসম্প্রদায়ের কথা মেনে অগ্নিপথও প্রত্যাহার করতে হবে।


একই মামলায় সনিয়া গান্ধীকেও আগামী ২৩ জুন তলব করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। এ বার কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর (Sonia Gandhi) শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ধরা পড়ল। নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে তাঁর। অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। গত শুক্রবার এই নিয়ে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল কংগ্রেস। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সামনে হাজিরা দেওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার মাকে দেখতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)।