শিলং: এবার মেঘালয় কংগ্রেসে বড় ভাঙন ধরাল তৃণমূল (TMC)। তৃণমূলে যোগ দিলেন মেঘালয়ের (Meghalaya) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma)। এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা-সহ কংগ্রেসের ১২ বিধায়ক। মেঘালয়ে (Meghalaya)  কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ছিল ১৮। ১২ বিধায়ক যোগ দেওয়ায় প্রধান বিরোধীদল হল তৃণমূল। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় এনডিএ-র ৪০ বিধায়ক। 


২৩ নভেম্বর তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অশোক তানওয়ার। প্রাক্তন ক্রিকেটার ও কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কাল।  কীর্তি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯-এ। কিন্তু লোকসভা ভোটে তিনি পরাজিত হন। এদিন বিকেলে অশোক তানওয়ার ও কীর্তি আজাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জাভেদ আখতার, সুধীন্দ্র কুলকার্নি ও পবন বর্মাও। 


উল্লেখ্য, এর আগেও দলবদলের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ (Leander Paes)। সম্প্রতি গোয়ায় (Goa) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁর হাতে তুলে দেন তৃণমূলের (TMC) পতাকা। এদিনই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের নাফিসা আলি (Nafisha ali)। কলকাতায় জন্ম নাফিসার। জাতীয় দলের প্রাক্তন সাঁতারু নাফিসা মডেলিং ও অভিনয়ের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ২০০৪-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছিলেন নাফিসা আলি। ২০০৯-এ সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে যান নাফিসা। পরে ফিরে আসেন কংগ্রেসে। 



শেষ নয় এখানেই, রয়েছে আরও দৃষ্টান্ত। দুপুরে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় নাম ছিল যাঁর। সন্ধেতেই তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তিনি আগরতলার কংগ্রেস (Congress) নেত্রী সুতপা ঘোষ। দুপুরে সুতপাকে আগরতলা পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ঘোষণা করেছিলেন ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। সন্ধেয় সুস্মিতা দেবের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে দলবদল করেন তিনি। তৃণমূলে যোগদান বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী রতন দাসেরও। 



সরকারের বিরুদ্ধে এতদিন জোরদার আন্দোলন করে আসা সংগঠনের আচমকা ভোলবদল। শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ মিশে গেল রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে। গত ২১ নভেম্বর ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূলের মঞ্চে শিক্ষামন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ও ২ হাজার সদস্য। তাঁদের দাবি, এবার কেন্দ্রের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন তাঁরা।