Mother Teresa birth anniversary: বিশ্বশান্তির প্রতীক মাদার টেরেজাকে শ্রদ্ধা, জন্মবার্ষিকীতে ট্যুইটারে স্মরণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপের

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Updated at: 26 Aug 2021 03:24 PM (IST)

ধর্ম-বর্ণের বেড়াজাল ভেঙে তিনি ছিলেন সবার ‘মাদার’৷ তিনি ছিলেন স্বার্থহীন সেবার মূর্ত প্রতীক৷

Mother Teresa birth anniversary: বিশ্বশান্তির প্রতীক মাদার টেরেজাকে শ্রদ্ধা, জন্মবার্ষিকীতে ট্যুইটারে স্মরণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপের

NEXT PREV

নয়াদিল্লি : জন্ম ম্যাসিডোনিয়ার স্কপিয়েতে। সেখানেই বড় হওয়া। আঠারো বছর বয়সে সিদ্ধান্ত সন্ন্যাস নেওয়ার। পথ চলার সেই শুরু। তারপর ম্যাসিডোনিয়া থেকে কলকাতা। সেই নারী ধীরে ধীরে হয়ে গেছেন এই বাংলার, এই দেশের। কাজের মাধ্যমে মাদার টেরেজা নিজেকে করে তুলেছিলেন বিশ্বশান্তির প্রতীক। সেই জন্য নোবেল পুরস্কারও পান তিনি। সারা বিশ্বের কাছে আদর্শ, এই মানুষটি শহর কলকাতার বড় আপন। বড় নিজের । তাঁর স্নেহচ্ছায়ায় আশ্রয় পেয়েছেন অগণিত মানুষ। 

আজ, ২৬ অগাস্ট সেই মাদারের জন্মদিন। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মাদারের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, হরদীপ পুরী। তিনি লেখেন, ''ভারতরত্ন এবং নোবেল বিজয়ী মাদার টেরেজাকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করছি। তিনি 'নির্মল হৃদয়' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মানব সেবায় তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।'' 





Remembering Bharat Ratna & Nobel Laureate Mother Teresa Ji on her birth anniversary. She established ‘Nirmal Hriday’ & dedicated her life to the service of humanity.- Hardeep Puri


ধর্ম-বর্ণের বেড়াজাল ভেঙে তিনি ছিলেন সবার ‘মাদার’৷ তিনি ছিলেন স্বার্থহীন সেবার মূর্ত প্রতীক৷ ১৯৯৮ সালে এক উপজাতি মহিলাকে দুরারোগ্য রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে তোলায় ২০০৩-এ মাদার টেরিজার আলৌকিক ক্ষমতার প্রথম স্বীকৃতি দেন তত্কালীন পোপ দ্বিতীয় জন পল।  একইভাবে ২০০৮ সালে দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত মৃতপ্রায় এক ব্রাজিলিয়ানকে সারিয়ে তুলেছিলেন মাদার।  ২০১৫ সালে এই ঘটনাটিকেও স্বীকৃতি দেন পোপ ফ্রান্সিস। মৃত্যুর ১৯ বছর পরে সন্ত ঘোষণা করা হয় মাদার টেরেজাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর ২০১৬ সালের  সেপ্টেম্বরে ভ্যাটিকান সিটিতে এক অনুষ্ঠানে সন্ত মর্যাদা জানানো হয় মাদার টেরেজাকে। ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী, কর্মসূত্রে কেউ সন্ত হতে পারেন না। ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলেই সন্ত হওয়া যায়। কারও অলৌকিক ক্ষমতার প্রয়োগে সাফল্যের অন্তত দু’টি ঘটনাকে পোপ স্বীকৃতি দিলে, মৃত্যুর পর তিনি সন্তের স্বীকৃতি পান। জীবনের পঁয়তাল্লিশটা বছর মাদার টেরেজা সঁপে দিয়েছিলেন অসহায় মানুষের সেবার। নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ! 


 ১৯৫০-এর ৭ অক্টোবর তাঁর হাতে তৈরি হয় মিশনারিজ অব চ্যারিটি। তার পর এক বিশাল যাত্রাপথ। মাদারের চেষ্টায় একে একে তৈরি হয় ‘নির্মল হৃদয়’, ‘শিশু ভবন’, ‘প্রেমদান’, ‘দয়াদান’। তাঁর তৈরি কুষ্ঠরোগীদের আশ্রম এক বিরাট কর্মকাণ্ড। তাঁর ছাতার নিচে একটু আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসতেন সারা বিশ্বের মানুষ। তারই স্বীকৃতিতে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ১৯৭৯ সালে। ভারত সরকার তাঁকে ভারতরত্ন সম্মান দেয়। তাঁর বিখ্যাত উক্তি,  ‘‘বিশ্ব শুধু রুটির জন্য ক্ষুধিত নয়, প্রেমের জন্যও বটে৷’ - যে প্রেম তিনি সারাজীবন বিলিয়েছেন। তাই আজও কলকাতার মানুষের কাছে তিনি মাদার।


 


 

Published at: 26 Aug 2021 03:24 PM (IST)

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.