নয়াদিল্লি ও মুম্বই: ডি-কোম্পানির হয়ে কাজ করা ধৃত জঙ্গিকে জেরা করে মুম্বই থেকে পাকড়াও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি। 


সূত্রের খবর, ধৃত জান মহম্মদকে অস্ত্র লেনদেন করেছিল জাকির। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে আত্মসমর্পণ করল ধৃত জঙ্গি ওসামার কাকা।


উৎসবের মুখে নাশকতার ছক বানচাল করে, ৬ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)। 


সেই দলের অন্যতম চাঁই, জান মহম্মদ শেখ ওরফে সমীর কালিয়াকে জেরা করে এল আরও সাফল্য। মুম্বই থেকে ধরা পড়ল, জাকির নামে আরও এক সন্দেহভাজন জঙ্গি।


শুক্রবার রাতে, মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকা থেকে জাকিরকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস ও মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা।


মুম্বই পুলিশের এটিএস সূত্রে খবর, জাকিরের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি-মডিউলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। ধৃত জঙ্গি জান মহম্মদ ওরফে সমীরকে, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্বে ছিল জাকির।  


এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য নগরীর নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মুম্বই পুলিশ। রবিবার মুম্বইতে অনন্ত চতুর্দশী উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা হবে। তাই নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। 


পুলিশ জানতে পেরেছে, রেলপথে নাশকতার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। তাই মুম্বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে জিআরপি। 


জঙ্গি মডিউলের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে হুমেইদ রহমান নামে আরও একজনের খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার, প্রয়াগরাজের করেলি থানায় আত্মসমর্পণ করে হুমেইদ। 


পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি, সম্পর্কে, ধৃত জঙ্গি ওসামার কাকা। জঙ্গিদের জন্য বিস্ফোরক জোগাড় করা এবং দেশে একাধিক বিস্ফোরণের ছক ছিল হুমেইদের। 


এদিকে, বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া গুরদাসপুরে একটি ড্রোনের হদিশ মেলে। বিএসএফ জওয়ানরা গুলি করতেই উধাও হয়ে যায় ড্রোনটি।


তাই ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৪-১৫ বাংলাভাষী জঙ্গি এখনও অধরা! কোথায় তারা? পুজোর আগে বাড়ছে আতঙ্ক


আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে নাশকতার ছক ফাঁস, দিল্লি পুলিশের জালে দুই পাক প্রশিক্ষিত জঙ্গি সহ ছয়জন