কলকাতা: গণেশপুজো (Ganesh Puja)দিয়ে উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গেছে। নবরাত্রি-দশেরা। রাস্তায় জনপ্লাবণের সম্ভাবনা। কিন্তু, সেই ভিড়ে কোনও জঙ্গি লুকিয়ে থাকবে না তো? এই আতঙ্ক এখন প্রত্যেকটা মানুষের মনে। ছয় জঙ্গিকে (Terrorists) গ্রেফতারের পর, দিল্লি পুলিশের (Delhi Police)স্পেশাল সেল দাবি করেছে, এই জঙ্গিরা অপারেশনের জন্য টার্গেট করেছিল উৎসবের মরশুমকেই। 



আরও পড়ুন :২৬/১১-র মুম্বই হামলার ধাঁচেই নাশকতার ছক ছিল জঙ্গিদের, দিল্লি পুলিশের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য


 


আরও আতঙ্কের বিষয় হল,  পাকিস্তানে (Pakistan) প্রশিক্ষণ নেওয়া ১৪-১৫ জন বাংলাভাষী জঙ্গির হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। তারা এখন কোথায়? কী তাদের পরিকল্পনা? কেউ জানে না। 
আর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই সবথেকে ভয়ের। দুর্গাপুজো (Durga Puja), নবরাত্রি, রামলীলা - গোটা দেশ যখন উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই পাকিস্তানের কোনও গোপন ডেরায় বসে চলছিল ভারত-বিরোধী চক্রান্ত। উদ্দেশ্য ছিল, আরও একবার ভারত-ভূমকে রক্তাক্ত করা! সেই জঙ্গি মডিউলেরই পর্দাফাঁস করল দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড! ৬ জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর দিল্লি পুলিশের জেরায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।  পুলিশ সূত্রে খবর, ২৬/১১-র মুম্বই হামলার ধাঁচেই নাশকতার ছক ছিল জঙ্গিদের। এর জন্য পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই জঙ্গিদের নিশানা বেছে বিস্ফোরণ ঘটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পুরনো বিশ্বস্ত জঙ্গিদেরই বেছে নিয়েছিল দাউদ ইব্রাহিমের D কোম্পানি। দিল্লি পুলিশের দাবি, ধৃত জঙ্গি সমীর আগে D কোম্পানির হয়ে কাজ করেছে। সমীরই রায়বেরিলির মুলচাঁদ ওরফে লালাকে নিয়োগ করে। মুলচাঁদের কাজ ছিল বিস্ফোরক ও অস্ত্র পাচার করা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গি-প্রশিক্ষণের জন্য যে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা-ও কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা দু’টো দলে ভাগ হয়ে কাজ করেছিল। এর মধ্যে একটা দল চালাচ্ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিম। 

সামনেই পুজো। পুজো মানেই মানুষের ভিড়। আর নাশকতার জন্য জঙ্গিরা এরকম সুযোগই খোঁজে। সেকথা ভেবেই অ্যালার্ট সিকিওরিটি এজেন্সিগুলো। সব মিলিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসবের মুখেই উদ্বেগ।