মুম্বই : মুম্বই শহরে বোমাতঙ্ক। বাড়ানো হল নিরাপত্তা। মুম্বই রেলপুলিশ কমিশনার কাশের খালিদ জানান, বান্দ্রা রেলপুলিশ স্টেশনে বোমা হামলার হুমকি-ফোন এসেছে। হুমকির কথা সব নিরাপত্তা এজেন্সিকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।


পরে তিনি আরও জানান, হুমকি ফোন পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। যে ফোন করেছিল সে দুবাইয়ে থাকে। মায়ের সঙ্গে। মানসিক অবস্থা ঠিক নেই। গত সপ্তাহেও একইভাবে গুজরাতের গাঁধীধামের এক অফিসারকে ফোন করেছিল। একইরকম তথ্য দিয়েছিল। আমরা তার আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।  


চলতি সপ্তাহেই এক ট্যাক্সি চালক জানান, কয়েকজন সন্দেহজন ব্যক্তি একটি ওয়াগন আর চারচাকা গাড়িতে ঘুরছে। তাঁর কাছে তারা জানতে চেয়েছিল, শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির অ্যান্টিলার বাড়ির ঠিকানা। যদিও পুলিশ সেই গাড়িটির খোঁজ পায়নি। তার পরই দক্ষিণ মুম্বই জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়।


আজাদ ময়দান থানার এক সিনিয়র ইন্সপেক্টর ভূষণ বেলনেকার বলেন, ওই ওয়াগন আর গাড়ির চালক আমাদের সব কিছু জানিয়েছেন। এছাড়া ওই তিন ব্যবসায়ী সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। আমরা তাঁর কথা খতিয়ে দেখি। তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথাও বলি। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।


এর আগে চলতি বছরেই গোড়ার দিকে মুকেশ আম্বানির বাড়ির অদূরে বিস্ফোরক-ভর্তি গাড়ি উদ্ধার হয়। আম্বানির মুম্বইয়ের বাড়ি অ্যান্টিলার ৪০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়িটি। গাড়ির ভিতর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স লেখা ব্যাগ থেকে মেলে হুমকি-চিঠি।   


অ্যান্টিলার কাছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েছিল গাড়িটি। দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে পুলিশ গিয়ে গাড়ি থেকে বিস্ফোরক ও হুমকি-চিঠি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বাণিজ্যনগরীতে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। এই ঘটনার পরেই মুম্বই জুড়ে জারি হয় হাই অ্যালার্ট। তদন্তে নামে অপরাধ-দমন শাখা।


শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে মুম্বই পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, হুমকি-চিঠিতে নীতা ও মুকেশ আম্বানিকে সম্বোধন করে লেখা, এটা শুধুমাত্র মহড়া। এরপর গোটা আম্বানি পরিবারকেই উড়িয়ে দেওয়া হবে।