নয়াদিল্লি: হিংসায় উস্কানি জোগানোর দায়ে জেলবন্দি আঙ সান সু চি (Aung San Suu Kyi)। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু প্রতিবেশ দেশের সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করল মায়ানমারের (Myanmar)  ক্ষমতাসীন সেনা জুন্টা (JUNTA)। নিজের আইনজীবী ছাড়া কারও সঙ্গে সু চি-র সাক্ষাতের অধিকার নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হল।


নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে এ বছর ফেব্রুয়ারিতে মায়ানমারের শাসনকার্য দখল করেছে সে দেশের সেনা, জুন্টা। জেলে পোরা হয়েছে সু চি-কে। এ ছাড়াও একাধিক মামলা আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মায়ানমার সফরে গিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla)। সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিক, সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (National League for Democracy)-র সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে সু চি-র সঙ্গে সাক্ষাতে অনুমতি চান তিনি। কিন্তু তাঁর অনুরোধ খারিজ করে দেওয়া হয়।


এর আগে, ২০২০ সালে মায়ানমার সফরে গিয়ে তৎকালীন স্টেট কাউন্সিলর সু চি-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হর্ষবর্ধন। এ বারের সফর নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘মায়ানমারে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিদেশ সচিব সাফ জানিয়েছেন, অবিলম্বে মায়ানমারে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনৈতিক বন্দি এবং যাঁরা আটক হয়েছেন, সকলকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে শীঘ্রই। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, হিংসার আশ্রয় নেওয়া চলবে না।’’


আরও পড়ুন: UP Assembly Election: প্রচারে কোভিড বিধির বালাই নেই, উত্তরপ্রদেশে পিছনো হোক ভোট: আদালত


মায়ানমারের সঙ্গে প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে ভারতের। সীমান্তে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে, দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্কও থাকবে। সে কথাো বৈঠেক তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।