নয়াদিল্লি: ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল এক বছর আগেই। এ বার দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণে (PSU Bank Privatisation) এগোতে শুরু করল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী কয়েক মাসের জন্য সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে দিল্লি সূত্রে খবর। শুধু দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কই নয়, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-ও(Bharat Petroleum Corporation LTD/BPCL) কেন্দ্রীয় সরকার বিক্রি করে দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। শীঘ্রই তার জন্য নতুন দরপত্র হাঁকা হবে বলে জানা গিয়েছে।


শীঘ্রই হতে চলেছে বেসরকারিকরণ!


২০২১-’২২ অর্থবর্ষের বাজেটেই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের কথা জানিয়ে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Central Bank of India) এবং ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কের (Indian Overseas Bank) বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। তার জন্য ২০২১-এর শীতকালীন অধিবেশনেই ব্যাঙ্কিং সংশোধনী বিল পাস করানোর কথা ছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। আসন্ন বাদল অধিবেশনে ওই বিলটি উত্থাপন করা হতে পারে। তা পাস হয়ে গেলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে সরকারের অংশিদারিত্ব ৫১ শতাংশ থেকে কমে ২৬ শতাংশে এসে ঠেকবে।


আরও পড়ুন: Yasin Malik Case Verdict: দুই মামলায় যাবজ্জীবন ইয়াসিন মালিকের, সাজা শোনাল NIA কোর্ট


একই সঙ্গে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-এ নিজেদের ৫২.৯৮ শতাংশ অংশিদারিত্বই কেন্দ্র বিক্রি করে দিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তার জন্য ২০২০-র মার্চ মাসেই দরপত্র হাঁকা হয়েছিল। কিন্তু ওই বছর নভেম্বর মাস পর্যন্ত মাত্র তিন সংস্থাই আগ্রহ দেখিয়েছিল তাতে। বর্তমানে তাদের মধ্যে মাত্র একটি সংস্থাই ভারত পেট্রোলিয়াম কিনতে আগ্রহী। বাকি দুই সংস্থা নিলাম থেকে নাম তুলে নিয়েছে। তাই নতুন করে দরপত্র হাঁকার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে খবর।


বাদল অধিবেশনেই পড়তে পারে সিলমোহর


ভারতীয় রেলের মালিকানাধীন কন্টেনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (Container Corporation of India/Concor)-ও বিক্রি করে দিতে চলেছে কেন্দ্র।  তবে তাতে বেশ আইনি কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই আগে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ, ভারট পেট্রোলিয়ামের বেসরকারিকরণ সেরে, তবেই কন্টেনার কর্পোরেশন বিক্রির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৯-এর নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কন্টেনার কর্পোরেশনের ৩০.৮ শতাংশ অংশিদারিত্ব বিক্রিতে সায় দেয়। ম্যানেজমেন্টের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ায় অনুমোদন মেলে। ওই সংস্থায় কেন্দ্রের ৫৪.৮০ শতাংশ অংশিদারিত্ব রয়েছে। ৩০.৮ শতাংশ বিক্রির পর মাত্র ২৪ শতাংশই সরকারের হাতে থাকবে।