নয়াদিল্লি : জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষ্যেই বক্তব্য রাখলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  তিনি ঘোষণা করলেন, ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পাঁচটি ভাষায় পড়াশোনা করা যাবে। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, করোনা আবহে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করা হয়েছে। গত এক বছরে জাতীয় শিক্ষানীতির আবহে নতুন প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। 
প্রধানমন্ত্রী বললেন, ‘১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার ৭৫ বছরে প্রবেশ করবে দেশ। জাতীয় শিক্ষানীতির জন্য শুরু প্রকল্প নতুন ভারত নির্মাণে কাজ করবে। এই শিক্ষানীতি অত্যন্ত আধুনিক। 
তিনি বলেন, ‘করোনাকালে অনলাইন এডুকেশন অনেক সহজ হয়েছে। বহু ছাত্রছাত্রী এই নতুন পদ্ধতিতে পড়াশোনা করছে। গত এক বছরে ২৩০০ কোটির বেশি মানুষ দীক্ষা পোর্টাল দেখেছে। 
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল পড়াশোনায় যুক্ত হচ্ছে দেশের যুবক-যুবতীরা। তিনি আরও বলেন, 



  • ‘ডিজিটাল পড়াশোনায় যুক্ত হচ্ছে দেশের যুবক-যুবতীরা’

  • ‘ভারতের ভাগ্য বদলাবে এই জাতীয় শিক্ষানীতি’

  • ‘ভালো পড়াশোনার জন্য বিদেশ থেকে ভারতে আসবে পড়ুয়ারা’

  • ‘ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পাঁচটি ভাষায় পড়াশোনা করা যাবে’

  • ‘বাংলা সহ ৮টি রাজ্যের ১৪টি কলেজে পাঁচটি ভাষায় পড়াশোনা করা যাবে’

  • ‘মাতৃভাষায় পড়াশোনা করলে পড়ুয়াদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে’

  • ‘বিদ্যাপ্রবেশ প্রকল্পের মাধ্যমে এবার গ্রামেও প্লে-স্কুল’

    গতবছর

    নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, 


    ১. ইউজিসি, এআইসিটিই- র মতো উচ্চশিক্ষার নিয়ামক সংস্থা তুলে একটিমাত্র নিয়ামক সংস্থা হবে। 


    ২. স্নাতক স্তরের কোর্সের মেয়াদ হবে ৪ বছর। 


    ৩. বলা হয়,স্নাতকোত্তর স্তরের কোর্সের মেয়াদ হবে ১ অথবা ২ বছর। 


    ৪. বলা হয়, পাঁচ বছর ইন্টিগ্রেটেড পদ্ধতিতেও স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর করা যাবে। 


    ৫. বলা হয়, নতুন শিক্ষানীতিতে তুলে দেওয়া হবে এম ফিল কোর্স। 


    ৬. বলা হয়, কলেজে স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষার যাবতীয় দায়িত্ব ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির হাতে।  


    ৭. বলা হয়, কলেজগুলিকে প্রশাসনিক সহ অর্থনৈতিক স্বশাসন দেওয়া হবে। 


    ৮. বলা হয়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান, কলা বিভাগের তফাৎ থাকবে না। 


    ৯. বলা হয়, কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়লেও তার সঙ্গে বাংলা, সঙ্গীতের মতো বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ থাকবে। 


    ১০. নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ৮ টি সেমিস্টারের কথা বলা হয়। 


    ১১. পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আঞ্চলিক ভাষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়।


    ১২. প্রাক-প্রাথমিকে যোগ হবে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি, এরপর তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম শ্রেণিকে রাখা হয়। প্রাথমিকে, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম শ্রেণী উচ্চ প্রাথমিক। 


    ১৩. স্কুল শিক্ষায় ত্রি ভাষা নীতি চালু করার কথা বলা হয়। যেখানে আঞ্চলিক, ইংরেজি ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতকেও রাখার কথা বলা হয়।