নয়া দিল্লি : হয়ত অতটা তীব্র হবে না, তবে এর সংক্রমণ হার চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন দেশের একাধিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সতর্কবার্তা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশবাসী যেমন সচেতন ছিল, ঠিক তেমনই সতর্ক থাকতে হবে।


পিএসআরআই হাসপাতালের চিকিৎসক জি সি খিলানি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, পশ্চিম ইউরোপে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার তিন থেকে চার মাস পর ভারতে সংক্রমণ ছড়াতে দেখা গেছে। কাজেই, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় আমরা যেমন সতর্ক ছিলাম, সেরকম সতর্ক থাকতে হবে। ভ্যাকসিন এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দিয়েছিল, সময়ের সাথে সাথে তা হ্রাস পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের জন্য বুস্টার ডোজের নীতি ঘোষণা করা উচিত।


মহাবীর মেডিক্যাল কলেজ ও সফদরজং হাসপাতালের ডিপার্টমেন্ট অফ ওবস্টারিকস অ্যান্ড গাইনোলজি বিভাগের কোভিড-১৯ এর নোডাল অফিসার ও সহকারী অধ্যাপক শীবা মারওয়া বলেন, যদিও এই ভ্যারিয়েন্টের জেরে হওয়া সংক্রমণের তীব্রতা আগের ভ্যারিয়েন্টের থেকে কম, কিন্তু, এর পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। যা চিন্তার কারণ।


প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে উদ্বেগের সঞ্চার করেছে করোনা ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এরই মধ্যে ব্রিটেনে গবেষণায় উঠে এল ওমিক্রন সংক্রমণের কিছু উপসর্গ। হাঁচি, মাথাব্যথা ও ক্লান্তির মতো উপসর্গ থাকতে পারে ওমিক্রন আক্রান্তের। ব্রিটেনের গবেষণায় এ কথা জানানো হয়েছে।


 







Zoe Covid study অ্যাপ হাজার হাজার আক্রান্তকে তাঁদের উপসর্গ জানাতে বলেছিল। সমীক্ষকরা  তদন্তকারীরা প্রভাবশালী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এবং অতি সংক্রামক নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন-উভয়ের সাথেই যুক্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেছেন।


গত ৩ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে সাধারণ লক্ষণগুলি জানা গিয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে-সর্দি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, হাঁচি, গলা ব্যথা।  ডেইলি মেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। 


সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সুপার মিউট্যান্ট ভাইরাস কোভিডের চেয়ে বেশি সর্দি-কাশির মতো।  অন্যদিকে, সাধারণত কোভিডের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে, একটানা কাশি, প্রবল জ্বর ও ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলা।