নয়াদিল্লি : ৬ জঙ্গিকে (terrorist) গ্রেফতারের পর দিল্লি পুলিশের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, ‘নবরাত্রি ও রামলীলার (Navratri, Ramlila) সময় নাশকতার ছক জঙ্গিদের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে উৎসবের মরসুমে ছিল বিস্ফোরণের ছক’। পুলিশ আরও জানিয়েছে, জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গেছে, ‘দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল জঙ্গিরা। অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করছিল দাউদের ভাই আনিস। পাকিস্তান থেকে নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ২ জঙ্গি ( Pakistan-organised terror module )। ২ জঙ্গিকে ট্রেনিং দেয় এক পাক লেফটেন্যান্ট। মুম্বই হামলায় ধৃত জঙ্গি কাসভের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই ট্রেনিং নেয় ২ জঙ্গি। ২ জঙ্গিকে আজ তোলা হল পাতিয়ালা হাউস আদালতে। 

আরও পড়ুন :


ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগে শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা, রাতভর নাকা চেকিং



এছাড়া জানা গেছে,পুরনো বিশ্বস্ত জঙ্গিদেরই বেছে নিয়েছিল দাউদের D কোম্পানি। দিল্লি পুলিশের দাবি, ধৃত জঙ্গি সমীর আগে দাউদের হয়ে কাজ করেছে।সমীরই রায়বেরিলির মুলচাঁদ ওরফে লালাকে নিয়োগ করে। মুলচাঁদের কাজ ছিল বিস্ফোরক ও অস্ত্র পাচার করা। দিল্লি পুলিশের দাবি, দুই জঙ্গিকে প্রথমে পাক বন্দর গোয়াদরের কাছে জিওনি নামে একটি গ্রামে রাখা হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় একটি ফার্ম হাউসে। ধৃত জঙ্গি ওসামার এক আত্মীয় থাকে কানপুরে। সেখানেও তল্লাশি চালায় এটিএস।  
দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান থেকে গ্রেফতার  করা হয় ৬ জঙ্গিকে। এদের মধ্যে মুম্বইয়ের সিওনের বাসিন্দা জান মহম্মদ শেখ গ্রেফতার হয় রাজস্থানের বাড়মেঢ় থেকে। দিল্লির জামিয়ার বাসিন্দা ওসামা ওরফে সমীরকে দিল্লির ওখলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লির সরাই কালে খান এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের বাসিন্দা আবু বকর। রায়বেরিলি থেকে স্থানীয় বাসিন্দা মুলচাঁদ ওরফে লালা ও প্রয়াগরাজ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা জিশান কামারকে পাকড়াও করে পুলিশ। লখনউ থেকে গ্রেফতার হয় আমির জাভেদ নামে আরেক জঙ্গি।